ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

    সাংবাদিক তুহিন হত্যা-গ্রেপ্তার আরও দুইজন, মোট সাত আসামি আটক

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১১:২২:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

    গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে এ মামলায় মোট সাতজন আসামি ধরা পড়েছে।

    শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জিএমপির উপকমিশনার রবিউল হাসান জানান, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত পাঁচজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন—ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী বেগম, স্বাধীন, আল আমিন ও সুমন। এর মধ্যে ফয়সালসহ তিনজনকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে, আল আমিনকে রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে এবং স্বাধীনকে হোতাপাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়।

    এরপর মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের চান্দনা এলাকার মাহবুব স্কুল মোড়ে রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাড়ি থেকে ধরা পড়েন মো. ফয়সাল হাসান (২৩)। অন্যজন মো. শাহ জালাল (৩২), যাকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার চর মসলন্দ মোড়লপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনের সবাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলার অগ্রগতি ও বিস্তারিত তথ্য জানাতে শনিবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে অবস্থিত সিপিএসসিতে (CPSC) সংবাদ ব্রিফ করবেন র‌্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি কে এম এ. মামুন খান চিশতী।

    উল্লেখ্য, নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক *প্রতিদিনের কাগজ* পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে এবং পরিবার নিয়ে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করতেন।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    সাংবাদিক তুহিন হত্যা-গ্রেপ্তার আরও দুইজন, মোট সাত আসামি আটক

    আপডেট সময় ১১:২২:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

    গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে এ মামলায় মোট সাতজন আসামি ধরা পড়েছে।

    শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জিএমপির উপকমিশনার রবিউল হাসান জানান, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত পাঁচজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন—ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী বেগম, স্বাধীন, আল আমিন ও সুমন। এর মধ্যে ফয়সালসহ তিনজনকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে, আল আমিনকে রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে এবং স্বাধীনকে হোতাপাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়।

    এরপর মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের চান্দনা এলাকার মাহবুব স্কুল মোড়ে রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাড়ি থেকে ধরা পড়েন মো. ফয়সাল হাসান (২৩)। অন্যজন মো. শাহ জালাল (৩২), যাকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার চর মসলন্দ মোড়লপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনের সবাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলার অগ্রগতি ও বিস্তারিত তথ্য জানাতে শনিবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে অবস্থিত সিপিএসসিতে (CPSC) সংবাদ ব্রিফ করবেন র‌্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি কে এম এ. মামুন খান চিশতী।

    উল্লেখ্য, নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক *প্রতিদিনের কাগজ* পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে এবং পরিবার নিয়ে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করতেন।