ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

    সাংবাদিক তুহিন হত্যায় মূল অভিযুক্ত আসামি আরমান গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৩:৩৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সরাসরি জড়িত রফিকুল ইসলাম আরমানকে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১। এর মধ্য দিয়ে এই মামলার আটজন আসামির সবাই গ্রেফতার হলো। সোমবার রাতে আরমানকে গ্রেফতারের পর র‍্যাব-১ সদস্যরা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

    গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার রবিউল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, “তুহিন হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়াদের একজন আরমান। সিসিটিভি ফুটেজে নীল শার্ট পরা ব্যক্তিই তিনি। বেশ কয়েক দিন ধরে তাকে খুঁজছিলাম। রাতে র‍্যাব তাকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।”

    এর আগে গত শনিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় সরাসরি আটজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। এর মধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে শহিদুল নামে একজনকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে বাদ দেওয়া হয়।

    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক তুহিনকে ধাওয়া করে। তিনি দৌড়ে ঈদগাহ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নিলেও দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

    শুক্রবার সকালে নিহতের বড় ভাই সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। নিহত আসাদুজ্জামান তুহিনের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে। তিনি পরিবারসহ গাজীপুর নগরের চৌরাস্তা এলাকায় থাকতেন।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    সাংবাদিক তুহিন হত্যায় মূল অভিযুক্ত আসামি আরমান গ্রেফতার

    আপডেট সময় ০৩:৩৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

    গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সরাসরি জড়িত রফিকুল ইসলাম আরমানকে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১। এর মধ্য দিয়ে এই মামলার আটজন আসামির সবাই গ্রেফতার হলো। সোমবার রাতে আরমানকে গ্রেফতারের পর র‍্যাব-১ সদস্যরা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

    গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার রবিউল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, “তুহিন হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়াদের একজন আরমান। সিসিটিভি ফুটেজে নীল শার্ট পরা ব্যক্তিই তিনি। বেশ কয়েক দিন ধরে তাকে খুঁজছিলাম। রাতে র‍্যাব তাকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।”

    এর আগে গত শনিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় সরাসরি আটজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। এর মধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে শহিদুল নামে একজনকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে বাদ দেওয়া হয়।

    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক তুহিনকে ধাওয়া করে। তিনি দৌড়ে ঈদগাহ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নিলেও দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

    শুক্রবার সকালে নিহতের বড় ভাই সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। নিহত আসাদুজ্জামান তুহিনের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে। তিনি পরিবারসহ গাজীপুর নগরের চৌরাস্তা এলাকায় থাকতেন।