ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

    সাবেক ৮ মন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে ৩ মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০২:২২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

    জুলাই-আগস্টে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর হত্যা ও গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক মন্ত্রিসভার ৪৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে তিন মাস সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

    রোববার (২০ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে সময় আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আগামী ১৫ অক্টোবর এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

    অভিযুক্তদের তালিকায় আরও যাঁরা:
    এই মামলায় আরও অভিযুক্ত হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, কামরুল ইসলাম, উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

    গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর এই গণহত্যার প্রাথমিক তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এরপর আরও দুই দফা সময় বাড়ানো হয়। নতুন এই আদেশে ৭টি পৃথক মামলায় ৪৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যাঁদের বেশিরভাগই বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

    ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে দেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার গুলিবর্ষণের অভিযোগ ওঠে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে। সরকারবিরোধী সেই আন্দোলন পরে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়, যা culminates হয় ৫ আগস্ট সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে।

    ট্রাইব্যুনাল বলেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। প্রসিকিউশন আশা করছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সম্ভব হবে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    সাবেক ৮ মন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে ৩ মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ

    আপডেট সময় ০২:২২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

    জুলাই-আগস্টে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর হত্যা ও গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক মন্ত্রিসভার ৪৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে তিন মাস সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

    রোববার (২০ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে সময় আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আগামী ১৫ অক্টোবর এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

    অভিযুক্তদের তালিকায় আরও যাঁরা:
    এই মামলায় আরও অভিযুক্ত হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, কামরুল ইসলাম, উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

    গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর এই গণহত্যার প্রাথমিক তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এরপর আরও দুই দফা সময় বাড়ানো হয়। নতুন এই আদেশে ৭টি পৃথক মামলায় ৪৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যাঁদের বেশিরভাগই বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

    ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে দেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার গুলিবর্ষণের অভিযোগ ওঠে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে। সরকারবিরোধী সেই আন্দোলন পরে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়, যা culminates হয় ৫ আগস্ট সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে।

    ট্রাইব্যুনাল বলেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। প্রসিকিউশন আশা করছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সম্ভব হবে।