ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

    স্বাধীনতা দিবসে জেলেনস্কি, ইউক্রেনকে আর আপসে বাধ্য করা যাবে না

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:২২:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঘোষণা দিয়েছেন, ইউক্রেনকে আর কখনোই কোনো ধরনের আপসে বাধ্য করা যাবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, দেশটি আপসের নামে কোনো চাপ মেনে নেবে না। পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন, ইউক্রেন এখন তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে এবং দেশটি ভিক্ষা চায় না, বরং প্রস্তাব দেয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কূটনৈতিক উদ্যোগ চলার মধ্যেই এমন অবস্থান প্রকাশ করলেন জেলেনস্কি।

    রোববার (২৪ আগস্ট) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, “ইতিহাসে আর কখনোই ইউক্রেনকে সেই লজ্জা সহ্য করতে হবে না, যেটাকে রাশিয়ানরা ‘আপস’ বলে ডাকে। আমাদের প্রয়োজন ন্যায্য শান্তি। আমাদের ভবিষ্যৎ আমরা নিজেরাই নির্ধারণ করব। বিশ্ব তা জানে এবং সম্মানও করে।”

    তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ স্বীকার করছে যে কিয়েভ এখনো পুরোপুরি জয়ী হয়নি, তবে রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী ইউক্রেন কোনোভাবেই পরাজিতও হয়নি। তার ভাষায়, “ইউক্রেন তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। ইউক্রেন কোনো ভুক্তভোগী নয়, বরং একটি যোদ্ধা। ইউক্রেন ভিক্ষা চায় না, বরং প্রস্তাব দেয়। আমরা টেকসই, নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জন করব, কারণ আমরা শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাচ্ছি।”

    জেলেনস্কি আরও বলেন, “এটি শুধু আমাদের লক্ষ্য নয়—এটি আমাদের সন্তান-নাতি-নাতনিদের জন্য রেখে যাওয়া উত্তরাধিকার: শক্তিশালী ইউক্রেন, সমান মর্যাদার ইউক্রেন, ইউরোপীয় ইউক্রেন, স্বাধীন ইউক্রেন।” এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ১৫ আগস্ট আলাস্কায় ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর সেই উদ্যোগে অগ্রগতি ঘটে। পরে ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে ট্রাম্প, জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে আরও একটি বৈঠক হয়।

    একই সময়ে ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যোগ দিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি কিয়েভে পৌঁছান। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হওয়ার পর পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে কানাডাই ছিল প্রথম দেশ, যারা ইউক্রেনকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

    কানাডার প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, “ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে এবং তাদের ইতিহাসের এই সংকটময় মুহূর্তে কানাডা ইউক্রেনের প্রতি সহায়তা ও ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির প্রচেষ্টা আরও জোরদার করছে।” পরে এক ভিডিও বার্তায় তিনি ইউক্রেনের প্রতি কানাডার সমর্থনকে “অটল” বলে উল্লেখ করে বলেন, “আপনারা যখন সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই করছেন এবং আপনার স্বপ্ন পূরণের পথে এগোচ্ছেন, কানাডা প্রতিটি পদক্ষেপে আপনাদের পাশে আছে।”

    নিউজটি শেয়ার করুন

    স্বাধীনতা দিবসে জেলেনস্কি, ইউক্রেনকে আর আপসে বাধ্য করা যাবে না

    আপডেট সময় ০১:২২:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

    ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঘোষণা দিয়েছেন, ইউক্রেনকে আর কখনোই কোনো ধরনের আপসে বাধ্য করা যাবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, দেশটি আপসের নামে কোনো চাপ মেনে নেবে না। পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন, ইউক্রেন এখন তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে এবং দেশটি ভিক্ষা চায় না, বরং প্রস্তাব দেয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কূটনৈতিক উদ্যোগ চলার মধ্যেই এমন অবস্থান প্রকাশ করলেন জেলেনস্কি।

    রোববার (২৪ আগস্ট) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, “ইতিহাসে আর কখনোই ইউক্রেনকে সেই লজ্জা সহ্য করতে হবে না, যেটাকে রাশিয়ানরা ‘আপস’ বলে ডাকে। আমাদের প্রয়োজন ন্যায্য শান্তি। আমাদের ভবিষ্যৎ আমরা নিজেরাই নির্ধারণ করব। বিশ্ব তা জানে এবং সম্মানও করে।”

    তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ স্বীকার করছে যে কিয়েভ এখনো পুরোপুরি জয়ী হয়নি, তবে রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী ইউক্রেন কোনোভাবেই পরাজিতও হয়নি। তার ভাষায়, “ইউক্রেন তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। ইউক্রেন কোনো ভুক্তভোগী নয়, বরং একটি যোদ্ধা। ইউক্রেন ভিক্ষা চায় না, বরং প্রস্তাব দেয়। আমরা টেকসই, নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জন করব, কারণ আমরা শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাচ্ছি।”

    জেলেনস্কি আরও বলেন, “এটি শুধু আমাদের লক্ষ্য নয়—এটি আমাদের সন্তান-নাতি-নাতনিদের জন্য রেখে যাওয়া উত্তরাধিকার: শক্তিশালী ইউক্রেন, সমান মর্যাদার ইউক্রেন, ইউরোপীয় ইউক্রেন, স্বাধীন ইউক্রেন।” এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ১৫ আগস্ট আলাস্কায় ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর সেই উদ্যোগে অগ্রগতি ঘটে। পরে ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে ট্রাম্প, জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে আরও একটি বৈঠক হয়।

    একই সময়ে ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যোগ দিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি কিয়েভে পৌঁছান। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হওয়ার পর পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে কানাডাই ছিল প্রথম দেশ, যারা ইউক্রেনকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

    কানাডার প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, “ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে এবং তাদের ইতিহাসের এই সংকটময় মুহূর্তে কানাডা ইউক্রেনের প্রতি সহায়তা ও ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির প্রচেষ্টা আরও জোরদার করছে।” পরে এক ভিডিও বার্তায় তিনি ইউক্রেনের প্রতি কানাডার সমর্থনকে “অটল” বলে উল্লেখ করে বলেন, “আপনারা যখন সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই করছেন এবং আপনার স্বপ্ন পূরণের পথে এগোচ্ছেন, কানাডা প্রতিটি পদক্ষেপে আপনাদের পাশে আছে।”