ঢাকা ০৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

    স্বামী’ স্ত্রীকে কেন রক্ত দিতে পারে না যেনে নিন

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০২:২৬:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

    স্বামী ও স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ আলাদা হলে সরাসরি রক্ত দেয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:

    ✅ ১. স্বামী যদি O পজিটিভ হয় এবং স্ত্রী AB পজিটিভ, তাহলে সরাসরি রক্ত দেওয়া যাবে না। রক্ত গ্রুপ মিলে গেলেও, Rh ফ্যাক্টর (Rh positive/negative) যদি মেলে না, তাহলে জটিলতা হতে পারে।

    ✅ ২. ক্রস-ম্যাচিং রিপোর্ট ফেইল করা:

    রক্ত দেয়ার আগে ক্রস-ম্যাচিং টেস্ট করা হয়। যদি এই পরীক্ষায় দেখা যায় রক্ত মিশলে শরীরে প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তাহলে সেই রক্ত দেওয়া যাবে না—even যদি রক্তের গ্রুপ ঠিক থাকে।

    ✅ ৩. ইনফেকশনের ঝুঁকি:

    যদি স্বামীর শরীরে এমন কোনও ভাইরাস বা ইনফেকশন থাকে (যা সে হয়তো জানে না), যেমন: হেপাটাইটিস বি/সি এইচআইভি তাহলে সেই রক্ত দেয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ

    ✅ ৪. রক্তদানে উপযুক্ত না হওয়া (Health Screening): স্বামী যদি রক্তদানের জন্য শারীরিকভাবে উপযুক্ত না হন,
    যেমন: রক্তে হিমোগ্লোবিন কম, রক্তচাপ সমস্যা, ওজন খুব কম বা খুব বেশি

    কোন ওষুধ খাচ্ছেন যেটা রক্তদানে বাধা তাহলে হাসপাতাল থেকে অনুমতি দেওয়া হয় না।

    ✅ ৫. মেডিকেল নিয়মনীতি ও হাসপাতালের পলিসি:

    অনেক হাসপাতাল ব্যাংকড ব্লাড (Blood Bank) থেকে পরীক্ষিত এবং সংরক্ষিত রক্ত ব্যবহার করে।

    তারা সরাসরি কাউকে রক্ত দিতে দেয় না, কারণ এতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

    অনেক ক্ষেত্রে শুধু স্বেচ্ছা দাতা রক্ত নেয়া হয়, রোগী নিজে কাউকে আনলেও সরাসরি তা ব্যবহার করা হয় না।

    ✅ উপসংহার:

    স্বামী সরাসরি রক্ত দিতে না পারার কারণ হলো—রক্তের মিল না থাকা, টেস্টে ব্যর্থতা, ইনফেকশনের সম্ভাবনা, বা হাসপাতালের নিয়মনীতি। তবে, এই ক্ষেত্রে দাতা হিসেবে স্বামী ব্লাড ব্যাংকে রক্ত দিয়ে বিনিময়ে স্ত্রীর জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত সংগ্রহ করতে পারেন।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    স্বামী’ স্ত্রীকে কেন রক্ত দিতে পারে না যেনে নিন

    আপডেট সময় ০২:২৬:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

    স্বামী ও স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ আলাদা হলে সরাসরি রক্ত দেয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:

    ✅ ১. স্বামী যদি O পজিটিভ হয় এবং স্ত্রী AB পজিটিভ, তাহলে সরাসরি রক্ত দেওয়া যাবে না। রক্ত গ্রুপ মিলে গেলেও, Rh ফ্যাক্টর (Rh positive/negative) যদি মেলে না, তাহলে জটিলতা হতে পারে।

    ✅ ২. ক্রস-ম্যাচিং রিপোর্ট ফেইল করা:

    রক্ত দেয়ার আগে ক্রস-ম্যাচিং টেস্ট করা হয়। যদি এই পরীক্ষায় দেখা যায় রক্ত মিশলে শরীরে প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তাহলে সেই রক্ত দেওয়া যাবে না—even যদি রক্তের গ্রুপ ঠিক থাকে।

    ✅ ৩. ইনফেকশনের ঝুঁকি:

    যদি স্বামীর শরীরে এমন কোনও ভাইরাস বা ইনফেকশন থাকে (যা সে হয়তো জানে না), যেমন: হেপাটাইটিস বি/সি এইচআইভি তাহলে সেই রক্ত দেয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ

    ✅ ৪. রক্তদানে উপযুক্ত না হওয়া (Health Screening): স্বামী যদি রক্তদানের জন্য শারীরিকভাবে উপযুক্ত না হন,
    যেমন: রক্তে হিমোগ্লোবিন কম, রক্তচাপ সমস্যা, ওজন খুব কম বা খুব বেশি

    কোন ওষুধ খাচ্ছেন যেটা রক্তদানে বাধা তাহলে হাসপাতাল থেকে অনুমতি দেওয়া হয় না।

    ✅ ৫. মেডিকেল নিয়মনীতি ও হাসপাতালের পলিসি:

    অনেক হাসপাতাল ব্যাংকড ব্লাড (Blood Bank) থেকে পরীক্ষিত এবং সংরক্ষিত রক্ত ব্যবহার করে।

    তারা সরাসরি কাউকে রক্ত দিতে দেয় না, কারণ এতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

    অনেক ক্ষেত্রে শুধু স্বেচ্ছা দাতা রক্ত নেয়া হয়, রোগী নিজে কাউকে আনলেও সরাসরি তা ব্যবহার করা হয় না।

    ✅ উপসংহার:

    স্বামী সরাসরি রক্ত দিতে না পারার কারণ হলো—রক্তের মিল না থাকা, টেস্টে ব্যর্থতা, ইনফেকশনের সম্ভাবনা, বা হাসপাতালের নিয়মনীতি। তবে, এই ক্ষেত্রে দাতা হিসেবে স্বামী ব্লাড ব্যাংকে রক্ত দিয়ে বিনিময়ে স্ত্রীর জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত সংগ্রহ করতে পারেন।