ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

    ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি চলছে

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০২:০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে সংঘটিত ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের হাইকোর্ট থেকে খালাস দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি আপিল বিভাগে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি চলছে।

    রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে পেপারবুক থেকে পাঠ করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। অন্যদিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ একাধিক আইনজীবী।

    এর আগে ১৫ জুলাই আপিল বিভাগ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানির দিন নির্ধারণ করে ১৭ জুলাই ধার্য করেন। ১ জুন রাষ্ট্রপক্ষকে এই আপিলের অনুমতি দেয় আদালত।
    চাঞ্চল্যকর এই মামলায় ১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা তারেক রহমান, ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ রায় প্রদান করে জানান, বিচারিক আদালতের রায়টি ছিল আইনত টেকসই নয় এবং মামলার চার্জশিট ছিল গ্রহণযোগ্যতার ঘাটতিযুক্ত।

    এর আগে, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত এই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

    এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে পৌঁছায়। এরপর দীর্ঘ শুনানির পর হাইকোর্ট ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সকল আসামিকে খালাস দেন। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়, যার লক্ষ্য ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    হামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং শেখ হাসিনাসহ দলটির বহু নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। আজও অনেক আহত ব্যক্তি শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছেন কিংবা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এই মামলার সর্বশেষ আপিল শুনানি এখন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন। মামলার ফলাফল রাজনৈতিক ও আইনি প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি চলছে

    আপডেট সময় ০২:০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

    ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে সংঘটিত ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের হাইকোর্ট থেকে খালাস দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি আপিল বিভাগে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি চলছে।

    রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে পেপারবুক থেকে পাঠ করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। অন্যদিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ একাধিক আইনজীবী।

    এর আগে ১৫ জুলাই আপিল বিভাগ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানির দিন নির্ধারণ করে ১৭ জুলাই ধার্য করেন। ১ জুন রাষ্ট্রপক্ষকে এই আপিলের অনুমতি দেয় আদালত।
    চাঞ্চল্যকর এই মামলায় ১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা তারেক রহমান, ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ রায় প্রদান করে জানান, বিচারিক আদালতের রায়টি ছিল আইনত টেকসই নয় এবং মামলার চার্জশিট ছিল গ্রহণযোগ্যতার ঘাটতিযুক্ত।

    এর আগে, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত এই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

    এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে পৌঁছায়। এরপর দীর্ঘ শুনানির পর হাইকোর্ট ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সকল আসামিকে খালাস দেন। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়, যার লক্ষ্য ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    হামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং শেখ হাসিনাসহ দলটির বহু নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। আজও অনেক আহত ব্যক্তি শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছেন কিংবা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এই মামলার সর্বশেষ আপিল শুনানি এখন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন। মামলার ফলাফল রাজনৈতিক ও আইনি প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।