ঢাকা ০১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
    আকাশগঙ্গায় মহাজাগতিক সাপের গায়ে ধাক্কা

    ৩২ লাখ কিমি গতিতে ছুটছে মৃত তারা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:২১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
    • / ৩৩১ বার পড়া হয়েছে

    আমাদের আকাশগঙ্গা গ্যালাক্সির ভেতরে একটি বড় সর্পের মতো আকৃতির গঠন রয়েছে, যাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন ‘মহাজাগতিক সাপ’ (Cosmic Snake)। সম্প্রতি এই সাপের শরীরের দুটি জায়গায় ফাটল দেখা গেছে

    বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ঘণ্টায় প্রায় ৩২ লাখ কিলোমিটার গতিতে ছুটে আসা একটি মৃত তারা—যাকে পালসার বলা হয়—এই কাঠামোতে ধাক্কা দিয়েছে। সেই ধাক্কার ফলেই এই ফাটল তৈরি হয়েছে।

    এই গবেষণায় অংশ নিয়েছে নাসার চন্দ্র এক্স-রে টেলিস্কোপ, দক্ষিণ আফ্রিকার মিয়ারক্যাট রেডিও টেলিস্কোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর ভেরি লার্জ অ্যারে।

    তারা জানাচ্ছে, এই মহাজাগতিক হাড়টি প্রায় ২৩০ আলোকবর্ষ লম্বা এবং এর আরেক নাম G359.13 বা গ্যালাকটিক সেন্টার স্নেক। ভাঙা অংশগুলো থেকে ভিন্নধরনের রেডিও সিগনাল পাওয়া গেছে, যা বিজ্ঞানীদের নতুন করে ভাবাচ্ছে।

    বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন ধরনের প্রায় ২০টি গঠন রয়েছে আমাদের গ্যালাক্সিতে, যেগুলোকে বলা হয় ‘আকাশগঙ্গার হাড়’। এই হাড়গুলো মূলত গ্যালাক্সির সর্পিল বাহুগুলোর ঘন অঞ্চল।

    ধারণা করা হচ্ছে, পালসারটি এক বা দুই জায়গায় ধাক্কা দিয়ে এই হাড়ের চৌম্বক ক্ষেত্রের গঠন নষ্ট করে দিয়েছে, যার ফলে অস্বাভাবিক রেডিও সংকেত পাওয়া যাচ্ছে।

    তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন—উভয় ফাটলই ওই পালসারের ধাক্কায় হয়েছে কি না। বিষয়টি জানতে আরও গভীরভাবে গবেষণা চলছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    আকাশগঙ্গায় মহাজাগতিক সাপের গায়ে ধাক্কা

    ৩২ লাখ কিমি গতিতে ছুটছে মৃত তারা

    আপডেট সময় ০১:২১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

    আমাদের আকাশগঙ্গা গ্যালাক্সির ভেতরে একটি বড় সর্পের মতো আকৃতির গঠন রয়েছে, যাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন ‘মহাজাগতিক সাপ’ (Cosmic Snake)। সম্প্রতি এই সাপের শরীরের দুটি জায়গায় ফাটল দেখা গেছে

    বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ঘণ্টায় প্রায় ৩২ লাখ কিলোমিটার গতিতে ছুটে আসা একটি মৃত তারা—যাকে পালসার বলা হয়—এই কাঠামোতে ধাক্কা দিয়েছে। সেই ধাক্কার ফলেই এই ফাটল তৈরি হয়েছে।

    এই গবেষণায় অংশ নিয়েছে নাসার চন্দ্র এক্স-রে টেলিস্কোপ, দক্ষিণ আফ্রিকার মিয়ারক্যাট রেডিও টেলিস্কোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর ভেরি লার্জ অ্যারে।

    তারা জানাচ্ছে, এই মহাজাগতিক হাড়টি প্রায় ২৩০ আলোকবর্ষ লম্বা এবং এর আরেক নাম G359.13 বা গ্যালাকটিক সেন্টার স্নেক। ভাঙা অংশগুলো থেকে ভিন্নধরনের রেডিও সিগনাল পাওয়া গেছে, যা বিজ্ঞানীদের নতুন করে ভাবাচ্ছে।

    বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন ধরনের প্রায় ২০টি গঠন রয়েছে আমাদের গ্যালাক্সিতে, যেগুলোকে বলা হয় ‘আকাশগঙ্গার হাড়’। এই হাড়গুলো মূলত গ্যালাক্সির সর্পিল বাহুগুলোর ঘন অঞ্চল।

    ধারণা করা হচ্ছে, পালসারটি এক বা দুই জায়গায় ধাক্কা দিয়ে এই হাড়ের চৌম্বক ক্ষেত্রের গঠন নষ্ট করে দিয়েছে, যার ফলে অস্বাভাবিক রেডিও সংকেত পাওয়া যাচ্ছে।

    তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন—উভয় ফাটলই ওই পালসারের ধাক্কায় হয়েছে কি না। বিষয়টি জানতে আরও গভীরভাবে গবেষণা চলছে।