ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

নোবেল কারাগারে বিয়ে করলেন ধর্ষণ মামলার বাদীকে 

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০১:৩২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ষণ মামলার বাদী নারীকে কারাগারেই বিয়ে সম্পন্ন করেছেন গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। গতকাল বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে বিশেষ ব্যবস্থায় এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। 

এ ঘটনার আগের দিন বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নোবেলের বিয়ের আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতে মামলার বাদী নারী ও নোবেল উভয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের সম্মতি জানান। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ বিয়ের ব্যবস্থা করে।

বিয়ের সময় উভয় পক্ষের চারজন সাক্ষী উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন নাজমা হোসেন, সাবিহা তারিন, খলিলুর রহমান ও সাদেক উল্লাহ ভুইয়া।

গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ ছিল, নোবেল এক নারীকে সাত মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছেন। তবে নোবেল দাবি করেন অভিযোগকারী নারী আসলে তার স্ত্রী।

পুলিশ তদন্তে জানা যায়, ২০১৮ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে দুজনের পরিচয় হয়। গত বছর নভেম্বরে নোবেল তাকে ডেমরায় নিজের স্টুডিওতে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে আটকে রাখার পাশাপাশি ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ভয় দেখানোর অভিযোগ রয়েছে নোবেলের বিরুদ্ধে।

জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ রিয়েলিটি শো থেকে পরিচিতি পাওয়া নোবেল এর আগেও একাধিক নারী নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। গত ২০ মে থেকে তিনি কারাগারে আছেন। এই বিয়ের পর মামলার গতিপথ কী হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

নোবেল কারাগারে বিয়ে করলেন ধর্ষণ মামলার বাদীকে 

আপডেট সময় ০১:৩২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

ধর্ষণ মামলার বাদী নারীকে কারাগারেই বিয়ে সম্পন্ন করেছেন গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। গতকাল বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে বিশেষ ব্যবস্থায় এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। 

এ ঘটনার আগের দিন বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নোবেলের বিয়ের আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতে মামলার বাদী নারী ও নোবেল উভয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের সম্মতি জানান। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ বিয়ের ব্যবস্থা করে।

বিয়ের সময় উভয় পক্ষের চারজন সাক্ষী উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন নাজমা হোসেন, সাবিহা তারিন, খলিলুর রহমান ও সাদেক উল্লাহ ভুইয়া।

গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ ছিল, নোবেল এক নারীকে সাত মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছেন। তবে নোবেল দাবি করেন অভিযোগকারী নারী আসলে তার স্ত্রী।

পুলিশ তদন্তে জানা যায়, ২০১৮ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে দুজনের পরিচয় হয়। গত বছর নভেম্বরে নোবেল তাকে ডেমরায় নিজের স্টুডিওতে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে আটকে রাখার পাশাপাশি ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ভয় দেখানোর অভিযোগ রয়েছে নোবেলের বিরুদ্ধে।

জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ রিয়েলিটি শো থেকে পরিচিতি পাওয়া নোবেল এর আগেও একাধিক নারী নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। গত ২০ মে থেকে তিনি কারাগারে আছেন। এই বিয়ের পর মামলার গতিপথ কী হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।