জাপা নেতাদের অব্যাহতি “বেআইনি” কাউন্সিলে অংশ নেবেন তিন জ্যেষ্ঠ নেতা!

- আপডেট সময় ০৬:৫৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
- / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় পার্টির (জাপা) তিন জ্যেষ্ঠ নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মো. মুজিবুল হক (চুন্নু) অভিযোগ করেছেন, দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদের বেআইনিভাবে তাঁদের সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানেন না এবং আগামী দলের কাউন্সিলে অংশ নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের সোমবার (৭ জুলাই) দলীয় ঘোষণার মাধ্যমে এই তিন নেতাকে—সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মুজিবুল হককে—সব পদ থেকে অব্যাহতি দেন। পাশাপাশি শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে দলের নতুন মহাসচিব ঘোষণা করা হয়। গত এক সপ্তাহে জাপা থেকে মোট ১১ জন নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে দলে অস্থিরতা বিরাজ করছে। আগামীকাল বুধবার (৯ জুলাই) এ বিষয়ে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেবেন বলে দলের একটি সূত্রে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “জি এম কাদের যে সভা ডেকে আমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন, তা দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বৈধ নয়। মহাসচিব ছাড়া কেউ এমন সভা ডাকতে পারেন না। সে সিদ্ধান্ত আমরা মানি না এবং নিজেদের পদে বহাল আছি।” তিনি আরও বলেন, “দলের গঠনতন্ত্রে যে ধারা অনুসারে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা স্বৈরাচারী। এই ধারা বাতিল করতে হবে, কারণ এতে একক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কাউকে যোগ বা বহিষ্কার করার সুযোগ থাকে।
এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, জি এম কাদের তৎকালীন চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের অসুস্থতা সময়ে জোরপূর্বক কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বর্তমানে স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে দল পরিচালনা করছেন। মহাসচিব মুজিবুল হক বলেন, “দলের ২৮ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হলেও আমাকে জানানো হয়নি। আমি যখন সংসদ সদস্য, তখন জি এম কাদের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। কেবল এরশাদের ভাই হওয়ার কারণেই তাঁকে নেতৃত্বে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, “আমরা জাতীয় পার্টি ছাড়ছি না এবং কাউন্সিলেও অংশ নেব। কাউন্সিলে আমাদের মতামত গ্রহণ না করা হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ১৭ বছর ধরে দলের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আজকে একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রে আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। জি এম কাদেরের পদক্ষেপ দলের জন্য ক্ষতিকর এবং এটি সুস্থ রাজনীতির উদাহরণ নয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের নেতৃবৃন্দ—কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মোস্তফা আল মাহমুদ, নাজমা আকতার, জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান খান, জহিরুল ইসলাম জহির ও সোলায়মান আলম শেঠ প্রমুখ।