ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

    জুলাই গণহত্যা – রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপিকে শর্তসাপেক্ষে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৪:৫৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

    জুলাই গণহত্যা মামলায় অপরাধ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শর্ত অনুযায়ী, তাকে নিজে ও তার সঙ্গীদের জড়িত থাকার তথ্য ট্রাইব্যুনালের সামনে উপস্থাপন করতে হবে এবং প্রয়োজনে আদালতে সাক্ষ্য দিতেও প্রস্তুত থাকতে হবে।

    শনিবার (১২ জুলাই) এই বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের আদেশের লিখিত অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। তবে আদেশটি দেওয়া হয়েছিল গত ১০ জুলাই। আদেশে বলা হয়, “আদালত মনে করে যে, অভিযুক্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করা যেতে পারে—এই শর্তে যে, তিনি জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সত্য তথ্য ট্রাইব্যুনালের সামনে উপস্থাপন করবেন এবং অভিযোগ ওঠা ব্যক্তি ও ঘটনাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন। ট্রাইব্যুনাল যখন তাকে ডাকবে, তখন তিনি হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেবেন।”

    এছাড়াও, তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আদেশে বলা হয়, “যেহেতু তাকে ক্ষমা করা হয়েছে এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন, তাকে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে না রেখে কারাগারে আলাদাভাবে রাখা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

    চৌধুরী মামুনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জায়েদ বিন আমজাদ জানান, “এই ক্ষমা কার্যকর হবে তখনই, যখন তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে জুলাই গণহত্যা সংক্রান্ত সব তথ্য আদালতে তুলে ধরবেন এবং বিচারিক কার্যক্রমে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।”

    নিউজটি শেয়ার করুন

    জুলাই গণহত্যা – রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপিকে শর্তসাপেক্ষে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমা

    আপডেট সময় ০৪:৫৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

    জুলাই গণহত্যা মামলায় অপরাধ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শর্ত অনুযায়ী, তাকে নিজে ও তার সঙ্গীদের জড়িত থাকার তথ্য ট্রাইব্যুনালের সামনে উপস্থাপন করতে হবে এবং প্রয়োজনে আদালতে সাক্ষ্য দিতেও প্রস্তুত থাকতে হবে।

    শনিবার (১২ জুলাই) এই বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের আদেশের লিখিত অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। তবে আদেশটি দেওয়া হয়েছিল গত ১০ জুলাই। আদেশে বলা হয়, “আদালত মনে করে যে, অভিযুক্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করা যেতে পারে—এই শর্তে যে, তিনি জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সত্য তথ্য ট্রাইব্যুনালের সামনে উপস্থাপন করবেন এবং অভিযোগ ওঠা ব্যক্তি ও ঘটনাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন। ট্রাইব্যুনাল যখন তাকে ডাকবে, তখন তিনি হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেবেন।”

    এছাড়াও, তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আদেশে বলা হয়, “যেহেতু তাকে ক্ষমা করা হয়েছে এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন, তাকে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে না রেখে কারাগারে আলাদাভাবে রাখা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

    চৌধুরী মামুনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জায়েদ বিন আমজাদ জানান, “এই ক্ষমা কার্যকর হবে তখনই, যখন তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে জুলাই গণহত্যা সংক্রান্ত সব তথ্য আদালতে তুলে ধরবেন এবং বিচারিক কার্যক্রমে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।”