ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

কার্টনে মিলল সাভারের সবুজ মোল্লার খণ্ডিত মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ১১:৫৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৮৩ বার পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও ঢাকার কেরানীগঞ্জে কার্টনে পলিথিনে মোড়ানো খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি সাভারের যাদুরচর গ্রামের ইউনুস মোল্লার ছেলে সবুজ মোল্লা। তার মামা মহসিন মিয়া মরদেহ শনাক্ত করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে লৌহজং উপজেলার মেদেনীমণ্ডল খানবাড়ি এলাকায় আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে একটি কার্টনে পলিথিনে মোড়ানো মাথা ও গলা থেকে কোমর পর্যন্ত খণ্ডিত দেহ পাওয়া যায়।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জের মালঞ্চ এলাকায় একটি খণ্ডিত অংশ কুকুরের টানাটানিতে প্রকাশ পায়। স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল করলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, সিআইডি ও পিবিআইয়ের বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আনিসুর রহমান জানান, কেরানীগঞ্জে পাওয়া খণ্ডিত অংশের তদন্তের পর বিশেষজ্ঞ টিম মুন্সীগঞ্জে আসে।

প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে, উভয় স্থানের অংশগুলো একই ব্যক্তির। গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “নিহতের নাম সবুজ মোল্লা। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর মরদেহ গুম করতে ঘাতকরা এটি টুকরো করেছে।”

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সবুজ বনানীতে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সেদিন বিকেলে সাভার থানায় নিখোঁজের জিডি করা হয়।

শুক্রবার সকাল থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। কেরানীগঞ্জ ও লৌহজংয়ে খণ্ডিত মরদেহের খবর পেয়ে পরিবার থানায় যোগাযোগ করে এবং পরে মরদেহ শনাক্ত হয়। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত জোরদার করেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

কার্টনে মিলল সাভারের সবুজ মোল্লার খণ্ডিত মরদেহ

আপডেট সময় ১১:৫৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও ঢাকার কেরানীগঞ্জে কার্টনে পলিথিনে মোড়ানো খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি সাভারের যাদুরচর গ্রামের ইউনুস মোল্লার ছেলে সবুজ মোল্লা। তার মামা মহসিন মিয়া মরদেহ শনাক্ত করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে লৌহজং উপজেলার মেদেনীমণ্ডল খানবাড়ি এলাকায় আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে একটি কার্টনে পলিথিনে মোড়ানো মাথা ও গলা থেকে কোমর পর্যন্ত খণ্ডিত দেহ পাওয়া যায়।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জের মালঞ্চ এলাকায় একটি খণ্ডিত অংশ কুকুরের টানাটানিতে প্রকাশ পায়। স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল করলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, সিআইডি ও পিবিআইয়ের বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আনিসুর রহমান জানান, কেরানীগঞ্জে পাওয়া খণ্ডিত অংশের তদন্তের পর বিশেষজ্ঞ টিম মুন্সীগঞ্জে আসে।

প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে, উভয় স্থানের অংশগুলো একই ব্যক্তির। গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “নিহতের নাম সবুজ মোল্লা। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর মরদেহ গুম করতে ঘাতকরা এটি টুকরো করেছে।”

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সবুজ বনানীতে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সেদিন বিকেলে সাভার থানায় নিখোঁজের জিডি করা হয়।

শুক্রবার সকাল থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। কেরানীগঞ্জ ও লৌহজংয়ে খণ্ডিত মরদেহের খবর পেয়ে পরিবার থানায় যোগাযোগ করে এবং পরে মরদেহ শনাক্ত হয়। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত জোরদার করেছে।