মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবে। তবে এই ব্যয়ভার বহন করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একইসঙ্গে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প অভিযোগ করেন, পুতিন যা বলেন, বাস্তবে তা মানেন না।

সোমবার (১৪ জুলাই) তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে জানায়, স্থানীয় সময় রোববার মেরিল্যান্ডের জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজ-এ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি জানান, ইউক্রেনে পাঠানো এই প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কোনো খরচ দিচ্ছে না। তার ভাষায়, “আমরা এর জন্য কিছুই দিচ্ছি না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর খরচ দিচ্ছে। আমাদের জন্য এটি একটি ব্যবসা।” তবে তিনি ঠিক কতগুলো প্যাট্রিয়ট সিস্টেম পাঠানো হবে, তা স্পষ্ট করে বলেননি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কে বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, “পুতিন খুব সুন্দর করে কথা বলেন, কিন্তু রাত নামলেই বোমা ফেলেন— এটা মোটেই ভালো লাগে না।” তিনি আরও বলেন, “অনেকেই পুতিনকে ভিন্নভাবে চিনত। আমিও ভেবেছিলাম উনি কথা রাখেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে উনি যা বলেন, বাস্তবে তা মানেন না।”

এ সময় ট্রাম্প জানান, সোমবার তিনি ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রুটে বর্তমানে দুই দিনের সফরে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করছেন। এই সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।

রাশিয়ার ওপর নতুন কোনও নিষেধাজ্ঞা সোমবার ঘোষণা করা হবে কিনা— এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, সেটি তখনই জানা যাবে। তিনি জানান, ইউরোপ ইতোমধ্যেই রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তার মতে, “আমি পুতিনের প্রতি খুব হতাশ। ওনার কথা আর কাজে কোনও মিল নেই।”

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ও রিচার্ড ব্লুমেনথাল “স্যাংকশনিং রাশিয়া অ্যাক্ট অব ২০২৫” নামে একটি বিল উত্থাপন করেন। এতে প্রস্তাব করা হয়, রাশিয়া থেকে পণ্য— যেমন তেল, গ্যাস ও ইউরেনিয়াম— আমদানি করছে এমন দেশের পণ্যের ওপর ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি রাশিয়া নিয়ে সোমবার একটি “গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা” দেবেন। তবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তখন বলেননি।