ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

    দলের প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত : সালাহউদ্দিন

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৭:৫১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
    • / ২৬০ বার পড়া হয়েছে

    বিএনপি মনে করে, দলের প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। রবিবার (২০ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই মত জানায় বিএনপি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,

    পৃথিবীর বহু দেশেই দলীয় প্রধানই প্রধানমন্ত্রী হন। যুক্তরাজ্যের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে যুক্তরাজ্যে আমরা দেখি, দলীয় প্রধানই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। যদিও কিছু দেশে ব্যতিক্রম দেখা যায়, তবে সেখানেও সরকারি দলই সিদ্ধান্ত নেয় কে প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাই আমরা মনে করি, দলীয় প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। আশা করছি, এই বিষয়ে ভবিষ্যতের আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।”

    তিনি জানান, বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো ও গঠনের পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে, ত্রয়োদশ সংশোধনীর ভিত্তিতে প্রণীত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আনার সম্ভাব্যতা নিয়ে কথা হয়েছে। সালাহউদ্দিন আহমদ আরও জানান, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি প্রস্তাবনা বিএনপিকে দেওয়া হয়েছে। এটি পর্যালোচনা করে বিএনপি তাদের মতামত জানাবে।

    অন্যদিকে, বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও আলোচনার ভিত্তিতে কমিশন একটি নতুন খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে এবং তা দলগুলোকে প্রদান করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এ বিষয়ে আবারো আলোচনা হবে। আলী রীয়াজ আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পর্যায়ক্রমিক আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    দলের প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত : সালাহউদ্দিন

    আপডেট সময় ০৭:৫১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

    বিএনপি মনে করে, দলের প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। রবিবার (২০ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই মত জানায় বিএনপি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,

    পৃথিবীর বহু দেশেই দলীয় প্রধানই প্রধানমন্ত্রী হন। যুক্তরাজ্যের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে যুক্তরাজ্যে আমরা দেখি, দলীয় প্রধানই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। যদিও কিছু দেশে ব্যতিক্রম দেখা যায়, তবে সেখানেও সরকারি দলই সিদ্ধান্ত নেয় কে প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাই আমরা মনে করি, দলীয় প্রধানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। আশা করছি, এই বিষয়ে ভবিষ্যতের আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।”

    তিনি জানান, বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো ও গঠনের পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে, ত্রয়োদশ সংশোধনীর ভিত্তিতে প্রণীত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আনার সম্ভাব্যতা নিয়ে কথা হয়েছে। সালাহউদ্দিন আহমদ আরও জানান, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি প্রস্তাবনা বিএনপিকে দেওয়া হয়েছে। এটি পর্যালোচনা করে বিএনপি তাদের মতামত জানাবে।

    অন্যদিকে, বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও আলোচনার ভিত্তিতে কমিশন একটি নতুন খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে এবং তা দলগুলোকে প্রদান করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এ বিষয়ে আবারো আলোচনা হবে। আলী রীয়াজ আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পর্যায়ক্রমিক আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।