ঢাকা ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

    মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় মাসুমা নামে আরও একজনের মৃত্যু

    মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন
    • আপডেট সময় ০১:৪৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
    • / ২৬০ বার পড়া হয়েছে

    রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

    সর্বশেষ শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে মাসুমা (৩৮) নামে এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি মাইলস্টোন স্কুলের একজন অফিস সহায়ক (আয়া) ছিলেন। তার মৃত্যুতে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ জনে।

    মাসুমা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি মারা যান। ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাসুমার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে অবশেষে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    এর আগে একই দিন সকাল ৯টা ১০ মিনিটে মৃত্যু হয় মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জারিফ ফারহানের। সে দগ্ধ অবস্থায় আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিল। গতকাল শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় ৫০ জন আহত হয়েছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৩। আজকের দুই মৃত্যুসহ মৃতের সংখ্যা এখন ৩৫

    আহতদের মধ্যে বর্তমানে ৪০ জন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে, ৮ জন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং বাকিরা শহীদ মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি একাডেমিক ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের বেশিরভাগই ছিলেন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় মাসুমা নামে আরও একজনের মৃত্যু

    আপডেট সময় ০১:৪৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

    রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

    সর্বশেষ শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে মাসুমা (৩৮) নামে এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি মাইলস্টোন স্কুলের একজন অফিস সহায়ক (আয়া) ছিলেন। তার মৃত্যুতে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫ জনে।

    মাসুমা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি মারা যান। ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাসুমার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে অবশেষে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    এর আগে একই দিন সকাল ৯টা ১০ মিনিটে মৃত্যু হয় মাইলস্টোন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জারিফ ফারহানের। সে দগ্ধ অবস্থায় আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিল। গতকাল শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় ৫০ জন আহত হয়েছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৩। আজকের দুই মৃত্যুসহ মৃতের সংখ্যা এখন ৩৫

    আহতদের মধ্যে বর্তমানে ৪০ জন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে, ৮ জন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং বাকিরা শহীদ মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি একাডেমিক ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের বেশিরভাগই ছিলেন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী।