ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

    ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি-ফ্রান্সের বিপরীতে সতর্ক অবস্থানে ইতালি

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৩:০৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
    • / ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

    ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি জানিয়েছেন, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বাস্তবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই তাকে স্বীকৃতি দেওয়া বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে এবং এমন পদক্ষেপ বর্তমান সংকট সমাধানের জন্য বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে।

    ‌‘আমি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে, তবে সেটি প্রতিষ্ঠার আগেই স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে,’ শুক্রবার ইতালির দৈনিক লা রিপাবলিকা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন মেলোনি। তিনি আরও বলেন, ‘যদি এমন কিছু কাগজে-কলমে স্বীকৃতি দেওয়া হয় যা বাস্তবে এখনও নেই, তাহলে সমস্যাটি মিটে গেছে বলে ভুল বার্তা ছড়াতে পারে।’

    মেলোনির এই মন্তব্য ফ্রান্সের সেই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এসেছে, যেখানে দেশটি আগামী সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেয়। ফ্রান্সের এমন পদক্ষেপে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে।

    এদিকে শুক্রবার ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি তখনই দেওয়া উচিত, যখন সেই রাষ্ট্র ইসরাইলকেও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে।’ জার্মানির পক্ষ থেকেও এক সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা অদূর ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছেন না। তার ভাষায়, ‘আমাদের এখনকার অগ্রাধিকার হলো বহু প্রতীক্ষিত দুই-রাষ্ট্র সমাধান এগিয়ে নেওয়া।’

    এই অবস্থানগুলো থেকে স্পষ্ট যে, ইউরোপের বড় শক্তিগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি নিয়ে এখনও মতপার্থক্য রয়েছে, এবং তারা এটি বাস্তবতার নিরিখে বিবেচনা করতে চাইছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি-ফ্রান্সের বিপরীতে সতর্ক অবস্থানে ইতালি

    আপডেট সময় ০৩:০৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

    ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি জানিয়েছেন, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বাস্তবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই তাকে স্বীকৃতি দেওয়া বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে এবং এমন পদক্ষেপ বর্তমান সংকট সমাধানের জন্য বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে।

    ‌‘আমি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে, তবে সেটি প্রতিষ্ঠার আগেই স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে,’ শুক্রবার ইতালির দৈনিক লা রিপাবলিকা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন মেলোনি। তিনি আরও বলেন, ‘যদি এমন কিছু কাগজে-কলমে স্বীকৃতি দেওয়া হয় যা বাস্তবে এখনও নেই, তাহলে সমস্যাটি মিটে গেছে বলে ভুল বার্তা ছড়াতে পারে।’

    মেলোনির এই মন্তব্য ফ্রান্সের সেই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এসেছে, যেখানে দেশটি আগামী সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেয়। ফ্রান্সের এমন পদক্ষেপে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে।

    এদিকে শুক্রবার ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি তখনই দেওয়া উচিত, যখন সেই রাষ্ট্র ইসরাইলকেও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে।’ জার্মানির পক্ষ থেকেও এক সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা অদূর ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা করছেন না। তার ভাষায়, ‘আমাদের এখনকার অগ্রাধিকার হলো বহু প্রতীক্ষিত দুই-রাষ্ট্র সমাধান এগিয়ে নেওয়া।’

    এই অবস্থানগুলো থেকে স্পষ্ট যে, ইউরোপের বড় শক্তিগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি নিয়ে এখনও মতপার্থক্য রয়েছে, এবং তারা এটি বাস্তবতার নিরিখে বিবেচনা করতে চাইছে।