চাঁদাবাজির অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিত-কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত

- আপডেট সময় ০৭:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
- / ২৬২ বার পড়া হয়েছে
বিতর্কিত ঘটনায় জড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সব কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির সাবেক সমন্বয়ক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ।
রিফাত রশিদ বলেন, “সংগঠনের অর্গানোগ্রামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় কমিটি বহাল থাকবে। বাকি সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্মকে কলুষিত করতে পরাজিত ও সুবিধাভোগী গোষ্ঠী নানা রকম অপতৎপরতায় লিপ্ত। তাদের অপকর্ম প্রতিরোধে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাই।”
এই সিদ্ধান্ত আসে এমন এক সময়, যখন সংগঠনটির অন্যতম নেতা এবং সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে তিনি ও আরও কয়েকজন এক কোটি টাকার চাঁদা দাবি করেন।
এই ঘটনায় রোববার গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বাদী সিদ্দিক আবু জাফর। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে—আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ছাড়াও রয়েছেন কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. আমিনুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই সকালে আসামিরা শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা না দিলে পুলিশ দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন তারা। পরে চাপের মুখে বাদী নগদ দশ লাখ টাকা তুলে দেন। এরপর ১৯ জুলাই রাতে তারা আবার বাদীর বাসায় গিয়ে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
মামলার ভিত্তিতে আসামিদের মধ্যে রিয়াদসহ চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে তদন্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান। রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে সকল শাখা কমিটি স্থগিত করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত সংগঠনের আস্থার সংকট কাটিয়ে ওঠার একটি চেষ্টামাত্র, তবে ভবিষ্যতে পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।