ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

    জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, আন্দোলনে উত্তাল রাজধানী

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
    • / ২৬১ বার পড়া হয়েছে

    জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রস্থল শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ধারীরা। বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই বেলা ১১টার দিকে শতাধিক মানুষ লাল-সবুজ পতাকা হাতে শাহবাগে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন এবং সড়কের একাংশে ব্যানার টানিয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। তাদের ব্যানারে বড় অক্ষরে লেখা ছিল— ‘জুলাই যোদ্ধা’।

    বিক্ষোভকারীদের দাবি, বহুবার আহ্বান জানানোর পরও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এই সনদ শুধুই দাবি নয়— এটি তাদের অধিকার। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরেও যখন সনদের বিষয়ে অগ্রগতি নেই, তখন বাধ্য হয়েই তারা রাজপথে নেমেছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অবরোধ চলবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত, এমনকি প্রয়োজনে শাহবাগেই স্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে অবস্থান নেবেন তারা।

    অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড় এবং এর আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। অবরোধস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যও উপস্থিত ছিল, তবে এখন পর্যন্ত কোনো সংঘাত বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

    শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর সাংবাদিকদের জানান, অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড়সহ আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার আলোচনাও শেষ হয়। কমিশন চেষ্টা করছে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে, তবে ঐকমত্য গঠনে এখনও কিছু বাধা রয়ে গেছে। জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কমিশনের প্রস্তাবিত সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে।

    কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত ও গ্রহণযোগ্য সনদ তৈরির চেষ্টা করছে, তবে সবার সম্মতি না মিললে তা চূড়ান্ত করা কঠিন হবে। এই প্রেক্ষাপটে, শাহবাগে সরব ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ আন্দোলন এবং কমিশনের সনদ চূড়ান্ত করার তৎপরতা— দুইয়ের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি ও নাগরিক সমাজ।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, আন্দোলনে উত্তাল রাজধানী

    আপডেট সময় ০১:০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

    জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রস্থল শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ধারীরা। বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই বেলা ১১টার দিকে শতাধিক মানুষ লাল-সবুজ পতাকা হাতে শাহবাগে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন এবং সড়কের একাংশে ব্যানার টানিয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। তাদের ব্যানারে বড় অক্ষরে লেখা ছিল— ‘জুলাই যোদ্ধা’।

    বিক্ষোভকারীদের দাবি, বহুবার আহ্বান জানানোর পরও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এই সনদ শুধুই দাবি নয়— এটি তাদের অধিকার। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরেও যখন সনদের বিষয়ে অগ্রগতি নেই, তখন বাধ্য হয়েই তারা রাজপথে নেমেছেন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অবরোধ চলবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত, এমনকি প্রয়োজনে শাহবাগেই স্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে অবস্থান নেবেন তারা।

    অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড় এবং এর আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। অবরোধস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যও উপস্থিত ছিল, তবে এখন পর্যন্ত কোনো সংঘাত বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

    শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর সাংবাদিকদের জানান, অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড়সহ আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার আলোচনাও শেষ হয়। কমিশন চেষ্টা করছে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে, তবে ঐকমত্য গঠনে এখনও কিছু বাধা রয়ে গেছে। জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কমিশনের প্রস্তাবিত সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে।

    কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত ও গ্রহণযোগ্য সনদ তৈরির চেষ্টা করছে, তবে সবার সম্মতি না মিললে তা চূড়ান্ত করা কঠিন হবে। এই প্রেক্ষাপটে, শাহবাগে সরব ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ আন্দোলন এবং কমিশনের সনদ চূড়ান্ত করার তৎপরতা— দুইয়ের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি ও নাগরিক সমাজ।