ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫

    ওভালে ইতিহাস গড়তে শেষ দিনে ইংল্যান্ডের দরকার মাত্র ৩৫ রান

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

    ওভাল টেস্টে জয়ের পথে ছিল ইংল্যান্ড। ৩৭৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যখন দলটির স্কোর ৬ উইকেটে ৩৩৭, তখন জয় থেকে তারা মাত্র ৩৭ রান দূরে। উইকেটে ছিলেন জেমি স্মিথ ও জেমি ওভারটন। কিন্তু ঠিক তখনই হানা দেয় প্রকৃতি—আলোকস্বল্পতার পর নামে বৃষ্টি, চতুর্থ দিনের খেলা আর শুরু হয়নি। ফলে ম্যাচ গড়ায় পঞ্চম দিনে।

    এর আগ পর্যন্ত ওভালে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ২৬৩, সেটাও ১৯০২ সালে। সেই রেকর্ড ভাঙতে মুখিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে ম্যাচ শুরুর পর থেকেই ফেবারিট মনে করা হচ্ছিল না। কিন্তু এই ইংল্যান্ড বেন স্টোকস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের হাত ধরে পুরোনো হিসাব-নিকাশ তছনছ করে দিতে পটু।

    ইংল্যান্ডের রান তাড়ার ভিত্তি গড়ে দেন জো রুট ও হ্যারি ব্রুক। দুজনের ১৯৫ রানের জুটিতে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৩০১/৩ উইকেটে । ব্রুক ১১১ রান করেন, সঙ্গী রুটের ব্যাট থেকে আসে ১০৫। ভারতের বোলাররা ছিল কার্যত অসহায়।

    তবে ম্যাচ হেলে পড়ার আগেই ফেরেন ব্রুক। আকাশ দীপের বলে মিড অফে ক্যাচ নেন সিরাজ। অথচ এই ব্রুককেই একসময় ১৯ রানে ফেরানো সম্ভব ছিল। প্রসিধ কৃষ্ণার বলে সিরাজের নেওয়া একটি দুর্দান্ত ক্যাচ পা সীমানায় লাগায় ছক্কায় রূপ নেয়। সেদিন যদি সেই ক্যাচটি বৈধ হতো, ইংল্যান্ডের স্কোর হতো ৪ উইকেটে ১৩৭।

    ব্রুকের বিদায়ের পর আরও উত্তেজনা। প্রসিধ ফেরান জো রুটকেও। একসময় জয় থেকে ৭৩ রান দূরে থাকা ইংল্যান্ড ৩১ রানের ব্যবধানে হারায় তিন উইকেট। প্রাকৃতিক কারণেই খেলা স্থগিত হয়, আর নাটকীয়তায় ভরা সিরিজের শেষ টেস্ট পঞ্চম দিনে গড়ায়। বৃষ্টি না হলে ইংল্যান্ড রেকর্ড গড়ে ম্যাচ জিতে যেতে পারত, কিংবা ভারত ফিরে পেতে পারত হারতে বসা লড়াই। এখন সব চোখ আগামী দিনের আকাশে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর
    ভারত: ২২৪ ও ৩৯৬।
    ইংল্যান্ড: ২৪৭ ও ৭৬.২ ওভারে ৩৩৯/৬ (ব্রুক ১১১, রুট ১০৫, ডাকেট ৫৪, পোপ ২৭; কৃষ্ণা ৩/১০৯, সিরাজ ২/৯৫, দীপ ১/৮৫)।
    (৪র্থ দিন শেষে)

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ওভালে ইতিহাস গড়তে শেষ দিনে ইংল্যান্ডের দরকার মাত্র ৩৫ রান

    আপডেট সময় ০১:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

    ওভাল টেস্টে জয়ের পথে ছিল ইংল্যান্ড। ৩৭৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যখন দলটির স্কোর ৬ উইকেটে ৩৩৭, তখন জয় থেকে তারা মাত্র ৩৭ রান দূরে। উইকেটে ছিলেন জেমি স্মিথ ও জেমি ওভারটন। কিন্তু ঠিক তখনই হানা দেয় প্রকৃতি—আলোকস্বল্পতার পর নামে বৃষ্টি, চতুর্থ দিনের খেলা আর শুরু হয়নি। ফলে ম্যাচ গড়ায় পঞ্চম দিনে।

    এর আগ পর্যন্ত ওভালে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ২৬৩, সেটাও ১৯০২ সালে। সেই রেকর্ড ভাঙতে মুখিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে ম্যাচ শুরুর পর থেকেই ফেবারিট মনে করা হচ্ছিল না। কিন্তু এই ইংল্যান্ড বেন স্টোকস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের হাত ধরে পুরোনো হিসাব-নিকাশ তছনছ করে দিতে পটু।

    ইংল্যান্ডের রান তাড়ার ভিত্তি গড়ে দেন জো রুট ও হ্যারি ব্রুক। দুজনের ১৯৫ রানের জুটিতে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৩০১/৩ উইকেটে । ব্রুক ১১১ রান করেন, সঙ্গী রুটের ব্যাট থেকে আসে ১০৫। ভারতের বোলাররা ছিল কার্যত অসহায়।

    তবে ম্যাচ হেলে পড়ার আগেই ফেরেন ব্রুক। আকাশ দীপের বলে মিড অফে ক্যাচ নেন সিরাজ। অথচ এই ব্রুককেই একসময় ১৯ রানে ফেরানো সম্ভব ছিল। প্রসিধ কৃষ্ণার বলে সিরাজের নেওয়া একটি দুর্দান্ত ক্যাচ পা সীমানায় লাগায় ছক্কায় রূপ নেয়। সেদিন যদি সেই ক্যাচটি বৈধ হতো, ইংল্যান্ডের স্কোর হতো ৪ উইকেটে ১৩৭।

    ব্রুকের বিদায়ের পর আরও উত্তেজনা। প্রসিধ ফেরান জো রুটকেও। একসময় জয় থেকে ৭৩ রান দূরে থাকা ইংল্যান্ড ৩১ রানের ব্যবধানে হারায় তিন উইকেট। প্রাকৃতিক কারণেই খেলা স্থগিত হয়, আর নাটকীয়তায় ভরা সিরিজের শেষ টেস্ট পঞ্চম দিনে গড়ায়। বৃষ্টি না হলে ইংল্যান্ড রেকর্ড গড়ে ম্যাচ জিতে যেতে পারত, কিংবা ভারত ফিরে পেতে পারত হারতে বসা লড়াই। এখন সব চোখ আগামী দিনের আকাশে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর
    ভারত: ২২৪ ও ৩৯৬।
    ইংল্যান্ড: ২৪৭ ও ৭৬.২ ওভারে ৩৩৯/৬ (ব্রুক ১১১, রুট ১০৫, ডাকেট ৫৪, পোপ ২৭; কৃষ্ণা ৩/১০৯, সিরাজ ২/৯৫, দীপ ১/৮৫)।
    (৪র্থ দিন শেষে)