গাজীপুরের শ্রীপুরে ১১ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্তরা বেশ কিছুদিন ধরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছিল। এই ঘটনায় রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে স্কুল থেকে ফেরার পথে বৃষ্টি থেকে বাঁচতে একটি দোকানে আশ্রয় নেয় ওই কিশোরী। সেখানে অভিযুক্তরা কোল্ড ড্রিংকসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে পান করায়। অচেতন হওয়ার পর তারা তাকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় তারা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে।

পরে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ওই মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছিল। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার পথে আবারও তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে তারা ওই কিশোরীকে জঙ্গলের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।

পরে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুজির একপর্যায়ে মেয়েটিকে জঙ্গলের পাশে পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর তার কাছ থেকে পুরো ঘটনা জানতে পেরে রোববার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর বাবা চারজনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কাওরাইদ গ্রামের মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫), জসিম উদ্দিন (৩০), মো. বাবুল মিয়া (২৫) ও সাব্বির আহমেদ (২০)।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”