রুশ তেল আমদানিতে ভারতের ওপর শুল্ক মস্কোর জন্য বড় ধাক্কা-ট্রাম্প

- আপডেট সময় ১১:৫৯:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৬০ বার পড়া হয়েছে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে ভারতের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে, আর এর ফলে রাশিয়ার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এনডিটিভি-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
হোয়াইট হাউসে দেওয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প দাবি করেন, চলমান বিশ্বব্যাপী চাপ এবং ভারতসহ কয়েকটি দেশের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের কারণে রাশিয়ার অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি মনে করি রাশিয়াকে তাদের দেশ গঠনে ফিরে আসতে হবে। এটি একটি বিশাল দেশ। রাশিয়ায় তাদের ভালো করার অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে।
তাদের অর্থনীতি এখন ভালো যাচ্ছে না, কারণ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে তারা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” ট্রাম্প ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “যখন রাশিয়ার বৃহত্তম বা দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল ক্রেতাকে বলা হলো, মস্কো থেকে তেল কিনলে আমরা তোমাদের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করব, তখন রাশিয়ার জন্য এটা ছিল একটা বড় ধাক্কা।” ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন সময়ে এল যখন তিনি এর কয়েক দিন আগেই নয়াদিল্লি এবং মস্কোকে ‘মৃত অর্থনীতি’ বলেছিলেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপর ২৫ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছে এবং রাশিয়ান তেল কেনার জন্য অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যার ফলে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। মার্কিন নেতা দাবি করেছেন যে, তার এই শুল্ক নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে কেবল রাজস্ব তৈরি করতেই নয়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাতসহ পাঁচটি যুদ্ধের সমাধান করতেও সাহায্য করেছে।
ট্রাম্পকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি কি এমন একটি সময় দেখতে পান যখন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে স্বাভাবিক বাণিজ্য সম্পর্ক থাকতে পারে, তখন ট্রাম্প বলেন, “মস্কো যদি যুদ্ধের পথ ছেড়ে দেয়, তবে এটি একটি সম্ভাবনা হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “যদি ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধের পরিবর্তে ব্যবসার দিকে যেতেন, তাহলে ভালো করতেন। কিন্তু এটি একটি যুদ্ধরত জাতি। তারা খালি যুদ্ধ করে।”
রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শুক্রবার একটি বৈঠক করতে যাচ্ছি। সেই বৈঠকের শেষে, সম্ভবত প্রথম দুই মিনিটের মধ্যেই, আমি ঠিক বুঝতে পারব যে কোনো চুক্তি করা সম্ভব কিনা।”