ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

    শিক্ষকদের আন্দোলন, সুফলের আশায় শিক্ষক প্রতিনিধিরা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৪:৫১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

    জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার পর শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সচিবালয়ে গেছেন। এ সময় তাদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা।

    প্রতিনিধি দলের ফিরে আসার অপেক্ষায় শিক্ষকরা বর্তমানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সড়কে অপেক্ষা করছেন। শিক্ষকরা আশা করছেন, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে এবং তাঁদের জন্য সুসংবাদ নিয়ে আসবেন প্রতিনিধিরা।
    এদিকে শিক্ষকদের পদযাত্রা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় প্রস্তুতি নিয়েছে।

    একজন আন্দোলনকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, “শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য আমাদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সচিবালয়ে গিয়েছেন। আমরা এখানে তাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি। নিশ্চয় শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে আমাদের জন্য সুবার্তা নিয়ে আসবেন।”

    এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী জানান, শিক্ষকদের এই দাবি দীর্ঘদিনের। ২০১৮ সালে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, তবে বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি নেই। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি, অথচ আমরা বছরের পর বছর বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি।”

    এর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট জানায়, ২০১৮ সালে দীর্ঘ আন্দোলনের পর তৎকালীন সরকার ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখি ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করে। তখন পরবর্তী মেয়াদে জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পূর্ববর্তী সরকার তা বাস্তবায়ন না করায় শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে।

    বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনায় শিক্ষা উপদেষ্টা বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দেন। এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ২২তম দিনে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি এবং বাজেটে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও শ্রান্তিবিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে বাজেটে বরাদ্দ থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এ কারণে জোট ১০ আগস্টের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছিল, অন্যথায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।

    অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী আরও বলেন, “কালকের সমাবেশে সারা দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও কর্মচারী ঢাকায় আসবেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে আমরা একযোগে দাবি তুলে ধরবো এবং প্রয়োজনে সচিবালয় পর্যন্ত পদযাত্রা করবো। এটা শুধু একটি কর্মসূচি নয়, বরং ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। আমরা চাই, সরকার অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিক। যদি এবারও দাবি পূরণ না হয়, তবে আমরা আরও বৃহত্তর ও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।”

    নিউজটি শেয়ার করুন

    শিক্ষকদের আন্দোলন, সুফলের আশায় শিক্ষক প্রতিনিধিরা

    আপডেট সময় ০৪:৫১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

    জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার পর শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সচিবালয়ে গেছেন। এ সময় তাদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা।

    প্রতিনিধি দলের ফিরে আসার অপেক্ষায় শিক্ষকরা বর্তমানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সড়কে অপেক্ষা করছেন। শিক্ষকরা আশা করছেন, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে এবং তাঁদের জন্য সুসংবাদ নিয়ে আসবেন প্রতিনিধিরা।
    এদিকে শিক্ষকদের পদযাত্রা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় প্রস্তুতি নিয়েছে।

    একজন আন্দোলনকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, “শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য আমাদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সচিবালয়ে গিয়েছেন। আমরা এখানে তাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি। নিশ্চয় শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে আমাদের জন্য সুবার্তা নিয়ে আসবেন।”

    এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী জানান, শিক্ষকদের এই দাবি দীর্ঘদিনের। ২০১৮ সালে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টাও আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, তবে বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি নেই। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি, অথচ আমরা বছরের পর বছর বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি।”

    এর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট জানায়, ২০১৮ সালে দীর্ঘ আন্দোলনের পর তৎকালীন সরকার ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখি ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করে। তখন পরবর্তী মেয়াদে জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পূর্ববর্তী সরকার তা বাস্তবায়ন না করায় শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত থাকে।

    বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনায় শিক্ষা উপদেষ্টা বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দেন। এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ২২তম দিনে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি এবং বাজেটে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও শ্রান্তিবিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে বাজেটে বরাদ্দ থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এ কারণে জোট ১০ আগস্টের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছিল, অন্যথায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।

    অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী আরও বলেন, “কালকের সমাবেশে সারা দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও কর্মচারী ঢাকায় আসবেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে আমরা একযোগে দাবি তুলে ধরবো এবং প্রয়োজনে সচিবালয় পর্যন্ত পদযাত্রা করবো। এটা শুধু একটি কর্মসূচি নয়, বরং ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। আমরা চাই, সরকার অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিক। যদি এবারও দাবি পূরণ না হয়, তবে আমরা আরও বৃহত্তর ও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।”