স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে ফেনী ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

- আপডেট সময় ০৫:২৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে
স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ একাধিক দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ফেনী ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের উত্তর দিকের অংশে এই অবরোধের ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী উভয় লেনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও স্লোগান
দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শিক্ষার্থীরা শহরের হাজারী রোড থেকে একটি পদযাত্রা নিয়ে এসে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের মূল দাবিগুলো হলো:
• স্থায়ী ক্যাম্পাস।
• বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস সার্ভিস চালু।
• ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।
• বোর্ড অব ট্রাস্টিজের পরিবর্তন।
আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন, যেমন: ‘মেরুদণ্ডহীন প্রশাসন মানি না’, ‘স্থায়ী ক্যাম্পাস মানতে হবে, প্রতারণা ভাঙতে হবে’ এবং ‘শিক্ষা-ব্যবসা একসাথে, চলে না’। দুপুর ১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান করে।
মাইশা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও কোনো ফল পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে আজ মহাসড়কে এসেছি। যদি স্থায়ী ক্যাম্পাস না হয়, তাহলে ইউজিসি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘রেড লিস্ট’-এ অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, যা আমাদের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবনকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলবে।’
আরেক শিক্ষার্থী সাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছি। দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম জামাল উদ্দীন আহমদ পদত্যাগ করেন। গত ১৮ আগস্ট থেকে শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের এই অবরোধ কর্মসূচির সময় ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি দেখা যায়।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মিজ ফাতেমা সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের একটি প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আলোচনায় বসবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও শিক্ষার্থীরা একাধিকবার তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছেন। গত বছরের ১৩ আগস্ট তারা ১৫ দফা দাবি পেশ করেছিলেন এবং কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন।