বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান অভিযোগ করেছেন, ফ্রান্স থেকে দুই ইউটিউবার তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, ওই ইউটিউবাররা জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সোমবার (২৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ফজলুর রহমান বলেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ’৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে ১২০০ মুক্তিযোদ্ধার প্রতিনিধিত্ব করেছি। জামায়াতে ইসলামী ’৭১-এর বিষয়ে বসুক, কথা বলুক, তবে আমি এ বিষয়ে কোনো আপস করব না।”
তিনি স্পষ্ট করে জানান, তিনি কখনো বলেননি “জামায়াত কালো শক্তি, ৫ আগস্ট ঘটিয়েছে।” এ বক্তব্য তার বিরুদ্ধে বানানো হতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে ফজলুর রহমান বলেন, “আমার সব বক্তব্য শুনুন।

আমাকে প্রমাণ দেখান কোথায় আমি এ কথা বলেছি। ইউটিউব থেকে দুই লাইন কেটে শোনালে হবে না। পুরো বক্তব্য বাজাতে হবে। যদি প্রমাণ হয় আমি এ কথা বলেছি, তাহলে আমি ক্ষমা চাইব।” তিনি অভিযোগ করেন, এখন অনেক কিছুই বানানো হচ্ছে। “এটা বানানো হতে পারে। তবে প্রমাণ দিতে পারলে আমি দ্বিধা ছাড়াই ক্ষমা চাইব।”

নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, “আমি দুর্নীতি দমন কমিশন ভবনের সামনের কনকর্ড বিল্ডিংয়ে থাকি। সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি সাত-আটজন শিক্ষার্থী আমার বিষয়ে স্লোগান দিচ্ছে। এখন তারা আমাকে মারতে চায়, মব সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু মব বা মৃত্যুতে আমার কোনো ভয় নেই।” তিনি জানান, তার বাসার সামনে সাত-আটজন ছেলে-মেয়ে স্লোগান দিয়েছে, পাশাপাশি ফ্রান্স থেকে দুই ইউটিউবার সরাসরি তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।

এদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়েও কথা বলেন ফজলুর রহমান। তিনি জানান, রোববার রাত ৯টার দিকে একজন বার্তাবাহক তার বাসায় নোটিশ পৌঁছে দেন। “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নোটিশের জবাব দেব,” বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বিতর্কিত ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে ফজলুর রহমানকে বিএনপির পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।