ঢাকা ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

    ২৪ গণহত্যার বিচার হলে ৭১–এর কেন নয়? সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১১:৩২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

    সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ প্রশ্ন তুলেছেন, যদি ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচার হয়, তবে ১৯৭১ সালের গণহত্যার বিচার কেন হবে না। সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এ প্রশ্ন করেন এবং জামায়াতের ভূমিকাকে তীব্র সমালোচনা করেন।

    এম এ আজিজ বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে প্রাদেশিক সরকারের চারজন মন্ত্রী ছিলেন জামায়াত থেকে। প্রাদেশিক জামায়াতের সিদ্ধান্তেই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতার ঘোষণা দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করেন, অনেকেই তখন প্রচার চালাতেন যে, জামায়াতকে ভোট দিলে বেহেশত পাওয়া যাবে।

    তিনি উল্লেখ করেন, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল এমনও বলেছিলেন যে, জামায়াতকে কোরআনের আইন পরিবর্তনের অধিকার দেওয়া হয়েছে, যা আল্লাহ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আজিজ বলেন, “এটা কত বড় শিরক ও আল্লাহর সঙ্গে শিরেকি কথাবার্তা! এই কারণেই আমি বলি, জামায়াতের সবাই দোজখে যাবে। কারণ তারা মুসলমান হয়েও আল্লাহকে চ্যালেঞ্জ করেছে।”

    টক শোতে এম এ আজিজ আরও বলেন, “আল্লাহই বেহেশত ও দোজখ সৃষ্টি করেছেন। তিনি এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করেন, বিচার করবেন এবং অপরাধীদের দোজখে আর সৎকর্মশীলদের বেহেশতে পাঠাবেন। এখানে জামায়াতের কোনো ভূমিকা নেই। আল্লাহ কি জামায়াতকে দায়িত্ব দিয়েছেন? আল্লাহর ক্ষমতাকে তারা চ্যালেঞ্জ করেছে। যে এ ধরনের কথা বলে, তার জন্য আগেভাগেই দোজখের শাস্তি বরাদ্দ হয়ে গেছে।”

    তিনি প্রশ্ন তোলেন, “দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে বেহেশত হবে—এটা কেমন ভ্রান্ত ধারণা? যদি তাই হয়, তবে আল্লাহর বিচারের কোনো প্রয়োজন নেই। আবার তারা দাবি করে, কোরআনের আইন পরিবর্তনের একমাত্র অধিকার জামায়াতের হাতে। এটা কি সম্ভব? কত বড় মুনাফেকি!”

    এম এ আজিজ বলেন, “কোরআন এমন একটি গ্রন্থ, যার একটি কমা পর্যন্ত পরিবর্তন করা যায়নি। বহু বিধর্মী চেষ্টা করেছে এর অখণ্ডতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। সেই কোরআনের আইন পরিবর্তনের ক্ষমতা নাকি আল্লাহ জামায়াতকে দিয়েছেন—এ কথা বলা শুধু শিরক নয়, বরং আল্লাহর বিচারকে অস্বীকার করার শামিল।”

    তিনি আরও বলেন, মুসলমান হিসেবে বিশ্বাস করতে হবে যে, আল্লাহ এক অদ্বিতীয়। তিনি-ই বেহেশত ও দোজখ সৃষ্টি করেছেন, তিনি-ই বিচার করবেন এবং তিনি-ই বরাদ্দ দেবেন। কিন্তু জামায়াত নিজেদের হাতে এ ক্ষমতা দাবি করে আল্লাহর বিচার ব্যবস্থাকেই অস্বীকার করছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ২৪ গণহত্যার বিচার হলে ৭১–এর কেন নয়? সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ

    আপডেট সময় ১১:৩২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

    সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ প্রশ্ন তুলেছেন, যদি ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচার হয়, তবে ১৯৭১ সালের গণহত্যার বিচার কেন হবে না। সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এ প্রশ্ন করেন এবং জামায়াতের ভূমিকাকে তীব্র সমালোচনা করেন।

    এম এ আজিজ বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে প্রাদেশিক সরকারের চারজন মন্ত্রী ছিলেন জামায়াত থেকে। প্রাদেশিক জামায়াতের সিদ্ধান্তেই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতার ঘোষণা দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করেন, অনেকেই তখন প্রচার চালাতেন যে, জামায়াতকে ভোট দিলে বেহেশত পাওয়া যাবে।

    তিনি উল্লেখ করেন, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল এমনও বলেছিলেন যে, জামায়াতকে কোরআনের আইন পরিবর্তনের অধিকার দেওয়া হয়েছে, যা আল্লাহ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আজিজ বলেন, “এটা কত বড় শিরক ও আল্লাহর সঙ্গে শিরেকি কথাবার্তা! এই কারণেই আমি বলি, জামায়াতের সবাই দোজখে যাবে। কারণ তারা মুসলমান হয়েও আল্লাহকে চ্যালেঞ্জ করেছে।”

    টক শোতে এম এ আজিজ আরও বলেন, “আল্লাহই বেহেশত ও দোজখ সৃষ্টি করেছেন। তিনি এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করেন, বিচার করবেন এবং অপরাধীদের দোজখে আর সৎকর্মশীলদের বেহেশতে পাঠাবেন। এখানে জামায়াতের কোনো ভূমিকা নেই। আল্লাহ কি জামায়াতকে দায়িত্ব দিয়েছেন? আল্লাহর ক্ষমতাকে তারা চ্যালেঞ্জ করেছে। যে এ ধরনের কথা বলে, তার জন্য আগেভাগেই দোজখের শাস্তি বরাদ্দ হয়ে গেছে।”

    তিনি প্রশ্ন তোলেন, “দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে বেহেশত হবে—এটা কেমন ভ্রান্ত ধারণা? যদি তাই হয়, তবে আল্লাহর বিচারের কোনো প্রয়োজন নেই। আবার তারা দাবি করে, কোরআনের আইন পরিবর্তনের একমাত্র অধিকার জামায়াতের হাতে। এটা কি সম্ভব? কত বড় মুনাফেকি!”

    এম এ আজিজ বলেন, “কোরআন এমন একটি গ্রন্থ, যার একটি কমা পর্যন্ত পরিবর্তন করা যায়নি। বহু বিধর্মী চেষ্টা করেছে এর অখণ্ডতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। সেই কোরআনের আইন পরিবর্তনের ক্ষমতা নাকি আল্লাহ জামায়াতকে দিয়েছেন—এ কথা বলা শুধু শিরক নয়, বরং আল্লাহর বিচারকে অস্বীকার করার শামিল।”

    তিনি আরও বলেন, মুসলমান হিসেবে বিশ্বাস করতে হবে যে, আল্লাহ এক অদ্বিতীয়। তিনি-ই বেহেশত ও দোজখ সৃষ্টি করেছেন, তিনি-ই বিচার করবেন এবং তিনি-ই বরাদ্দ দেবেন। কিন্তু জামায়াত নিজেদের হাতে এ ক্ষমতা দাবি করে আল্লাহর বিচার ব্যবস্থাকেই অস্বীকার করছে।