আরাকান আর্মির হাতে ৯ দিনে ৫১ বাংলাদেশি জেলে অপহৃত

- আপডেট সময় ১১:৪৮:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির ক্ষমতা বিস্তারের পর থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে জেলেদের ওপর অপহরণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। গত ৯ দিনের ব্যবধানে ৫১ জন বাংলাদেশি জেলেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে মিয়ানমারে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এদের মধ্যে টানা চার দিনেই অপহৃত হয়েছেন ৪৬ জন জেলে।
স্থানীয় প্রশাসন ও জেলেদের তথ্য অনুযায়ী, ১৭ আগস্ট ৫ জন, ২৩ আগস্ট ১২ জন, ২৪ আগস্ট ১৪ জন, ২৫ আগস্ট ৭ জন এবং সবশেষ ২৬ আগস্ট ১৩ জন জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কোনো জেলেকে এখন পর্যন্ত ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।
জেলে ও ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, আরাকান আর্মি স্পিডবোট নিয়ে শাহপরীর দ্বীপের কাছাকাছি নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় জেলেদের ধাওয়া করছে। শুধু তাই নয়, তারা বাংলাদেশের জলসীমানার ভেতরে ঢুকেও জেলেদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে জেলেদের মধ্যে বড় ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমনকি ২৬ আগস্ট আরাকান আর্মির ধাওয়ায় একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে, যেখানে কোস্টগার্ড ৬ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে।
অপহৃত জেলেদের স্বজনরা চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। ট্রলার মালিকরা জানান, আরাকান আর্মি অপহৃত জেলেদের মাঝেমধ্যে ফেরত দিলেও তাদের মাছ এবং জাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিএন শাকিব মেহবুব জানান, বারবার সতর্ক করার পরও জেলেরা জলসীমা অতিক্রম করছে, যার কারণে এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে। তবে নাফ নদে কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং জেলেদের জলসীমা অতিক্রম না করার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, নদীর নাব্যতাসংকটের কারণে ভাটার সময় জেলেদের অনেক সময় মিয়ানমারের জলসীমানা অতিক্রম করতে হয়, আর এই সুযোগেই আরাকান আর্মি তাদের অপহরণ করছে। অপহৃত জেলেদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য বিজিবি ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করছে। এছাড়াও, নাফ নদে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল ও নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।