পুতিনের সঙ্গে সামরিক কুচকাওয়াজে কিম জং উন, চীনের কূটনৈতিক বিজয়

- আপডেট সময় ১২:০১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৬১ বার পড়া হয়েছে
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একটি সামরিক কুচকাওয়াজে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন উপস্থিত থাকবেন। বিবিসি জানিয়েছে, চীন-জাপান যুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই ‘বিজয় দিবস’ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ আরও ২৬ রাষ্ট্রপ্রধানের এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
এই আয়োজনে প্রথমবারের মতো চীনা সামরিক বাহিনীর নতুন কাঠামো সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরা হবে। এতে শত শত বিমান, ট্যাঙ্ক এবং ড্রোন-বিরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রদর্শন করা হবে। তিয়েনআনমেন স্কয়ার দিয়ে হাজার হাজার সামরিক সদস্য এবং সাবেক যোদ্ধারা কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন, যা প্রায় ৭০ মিনিট ধরে চলবে।
বেইজিংয়ের কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই কুচকাওয়াজে রাশিয়ার পুতিন এবং চীনের শি জিনপিংয়ের পাশে কিম জং উনের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে আলোকচিত্রীদের জন্য বড় আকর্ষণ হবে। এটি চীনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের সঙ্গে একটি চুক্তি করার চেষ্টা করছেন এবং কিমের সঙ্গে আবার দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, ঠিক তখনই চীনের নেতা শি জিনপিং এই কুচকাওয়াজের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে চাইছেন। তিনি দেখাতে চাইছেন যে ভূ-রাজনৈতিক খেলায় তার হাতেই প্রধান নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং সীমিত পরিসরে হলেও তার প্রভাব উভয় নেতার উপরই রয়েছে।
হোয়াইট হাউজ ইঙ্গিত দিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অক্টোবরের শেষে ওই অঞ্চলে যেতে পারেন এবং শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী। চীনের নেতা শি এই বৈঠকের আগে কিম ও পুতিনের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবেন এবং নিশ্চিত হবেন যে তাকে আলোচনার বাইরে রাখা হয়নি।
ছয় বছর পর কিম জং উন বেইজিং সফর করছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে তিনি চীন-উত্তর কোরিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। সাধারণত নিভৃতচারী হিসেবে পরিচিত কিম খুব কমই বিদেশ ভ্রমণ করেন। তবে ২০১৮ সালে তিনি তিনবার বেইজিং সফর করেছিলেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রুশ নেতা পুতিনের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে বেশিরভাগ পশ্চিমা নেতার এই কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা নেই। এই কুচকাওয়াজে যোগ না দিতে জাপান ইউরোপীয় ও এশীয় দেশগুলোকে অনুরোধ করেছিল।