ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

    মেসি-আলবার জাদুতে ফাইনালে ইন্টার মায়ামি

    স্পোর্টস ডেস্ক
    • আপডেট সময় ১২:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

    চোটের কারণে লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালসহ ইন্টার মায়ামির আগের দুটি ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি লিওনেল মেসি। একইভাবে কোয়ার্টারে তিগ্রেসের বিপক্ষে চোটে পড়েছিলেন জর্দি আলবা।

    তাই সেমিফাইনালে দুজনকে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ছিল বড় অনিশ্চয়তা। তবে ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে সেমিফাইনালে শুরু থেকেই মাঠে দেখা গেল এই দুই সাবেক বার্সেলোনা তারকাকে। আর তাঁদের বোঝাপড়া মনে করিয়ে দিল কাতালান ক্লাবের সোনালি দিনের স্মৃতি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তরাও লিখলেন—“জাস্ট লাইক ওল্ড টাইমস।”

    এই নস্টালজিয়ার কারণ অবশ্যই ৮৮ মিনিটে মেসি-আলবার যৌথ প্রযোজনায় করা দৃষ্টিনন্দন গোলটি। তবে তার আগেই ম্যাচে নাটকীয় মোড় নেয়। প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ে গোল করে এগিয়ে যায় অরল্যান্ডো সিটি। ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিলিয়ানো ফ্যালকন বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে সুযোগ নেন উইঙ্গার মার্কো পাসালিচ। বাঁ পায়ের জোরালো শটে তিনি গোল করেন। যদিও ফ্যালকন তখন পাসালিচের হ্যান্ডবলের দাবি তুলেছিলেন, রেফারি তা আমলে নেননি।

    প্রথমার্ধজুড়ে আক্রমণাত্মক খেললেও পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মায়ামি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে চোট কাটিয়ে ফেরা মেসি আরও ক্ষুধার্ত দেখালেন নিজেকে। অবশেষে ৭৫ মিনিটে দলকে খেলায় ফেরান তিনি। নিজেদের বক্সে উইঙ্গার তাদেও আয়েন্দেকে ফেলে দেন অরল্যান্ডোর ডেভিড ব্রেকালো। ফলে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে এবং মায়ামি পায় পেনাল্টি। বাঁ পাশের পোস্টঘেঁষা নিখুঁত শটে গোল করেন মেসি।

    এরপর ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া অরল্যান্ডো সিটি চাপে পড়ে যায়। ৮৮ মিনিটে মেসি-আলবার সেই পরিচিত জুটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বাঁ প্রান্ত থেকে আলবার সঙ্গে দারুণ ওয়ান-টু পাস খেলে বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। আলবার নিখুঁত রিটার্ন পাস পেয়ে দৌড়ের ওপর থেকে বাঁ পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোল করেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। মায়ামির হয়ে এটি ছিল তাঁর ৩৩ ম্যাচে ২৭তম গোল।

    তবে অরল্যান্ডোর দুর্ভোগ সেখানেই শেষ হয়নি। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে দারুণ দৌড়ে বক্সে ঢুকে পাস দেন ভেনেজুয়েলান মিডফিল্ডার তেলেসকো সেগোভিয়া। বল ফিরে আসে লুইস সুয়ারেজের কাছ থেকে, আর সেখানেই সেগোভিয়া নিশ্চিত করেন মায়ামির তৃতীয় গোল।

    ৩-১ গোলের জয়ে ফাইনালে উঠে যায় ইন্টার মায়ামি। প্রতিপক্ষ হবে লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সি ও সিয়াটল সাউন্ডার্সের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ী দল। শুধু ফাইনালে ওঠাই নয়, এ সাফল্যের মধ্য দিয়ে আগামী বছরের কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে খেলার যোগ্যতাও নিশ্চিত করেছে হাভিয়ের মাচেরানোর দল।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    মেসি-আলবার জাদুতে ফাইনালে ইন্টার মায়ামি

    আপডেট সময় ১২:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

    চোটের কারণে লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালসহ ইন্টার মায়ামির আগের দুটি ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি লিওনেল মেসি। একইভাবে কোয়ার্টারে তিগ্রেসের বিপক্ষে চোটে পড়েছিলেন জর্দি আলবা।

    তাই সেমিফাইনালে দুজনকে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ছিল বড় অনিশ্চয়তা। তবে ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে সেমিফাইনালে শুরু থেকেই মাঠে দেখা গেল এই দুই সাবেক বার্সেলোনা তারকাকে। আর তাঁদের বোঝাপড়া মনে করিয়ে দিল কাতালান ক্লাবের সোনালি দিনের স্মৃতি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তরাও লিখলেন—“জাস্ট লাইক ওল্ড টাইমস।”

    এই নস্টালজিয়ার কারণ অবশ্যই ৮৮ মিনিটে মেসি-আলবার যৌথ প্রযোজনায় করা দৃষ্টিনন্দন গোলটি। তবে তার আগেই ম্যাচে নাটকীয় মোড় নেয়। প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ে গোল করে এগিয়ে যায় অরল্যান্ডো সিটি। ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিলিয়ানো ফ্যালকন বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে সুযোগ নেন উইঙ্গার মার্কো পাসালিচ। বাঁ পায়ের জোরালো শটে তিনি গোল করেন। যদিও ফ্যালকন তখন পাসালিচের হ্যান্ডবলের দাবি তুলেছিলেন, রেফারি তা আমলে নেননি।

    প্রথমার্ধজুড়ে আক্রমণাত্মক খেললেও পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মায়ামি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে চোট কাটিয়ে ফেরা মেসি আরও ক্ষুধার্ত দেখালেন নিজেকে। অবশেষে ৭৫ মিনিটে দলকে খেলায় ফেরান তিনি। নিজেদের বক্সে উইঙ্গার তাদেও আয়েন্দেকে ফেলে দেন অরল্যান্ডোর ডেভিড ব্রেকালো। ফলে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে এবং মায়ামি পায় পেনাল্টি। বাঁ পাশের পোস্টঘেঁষা নিখুঁত শটে গোল করেন মেসি।

    এরপর ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া অরল্যান্ডো সিটি চাপে পড়ে যায়। ৮৮ মিনিটে মেসি-আলবার সেই পরিচিত জুটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বাঁ প্রান্ত থেকে আলবার সঙ্গে দারুণ ওয়ান-টু পাস খেলে বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। আলবার নিখুঁত রিটার্ন পাস পেয়ে দৌড়ের ওপর থেকে বাঁ পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোল করেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। মায়ামির হয়ে এটি ছিল তাঁর ৩৩ ম্যাচে ২৭তম গোল।

    তবে অরল্যান্ডোর দুর্ভোগ সেখানেই শেষ হয়নি। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে দারুণ দৌড়ে বক্সে ঢুকে পাস দেন ভেনেজুয়েলান মিডফিল্ডার তেলেসকো সেগোভিয়া। বল ফিরে আসে লুইস সুয়ারেজের কাছ থেকে, আর সেখানেই সেগোভিয়া নিশ্চিত করেন মায়ামির তৃতীয় গোল।

    ৩-১ গোলের জয়ে ফাইনালে উঠে যায় ইন্টার মায়ামি। প্রতিপক্ষ হবে লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সি ও সিয়াটল সাউন্ডার্সের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ী দল। শুধু ফাইনালে ওঠাই নয়, এ সাফল্যের মধ্য দিয়ে আগামী বছরের কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে খেলার যোগ্যতাও নিশ্চিত করেছে হাভিয়ের মাচেরানোর দল।