রাজনৈতিক সংঘর্ষে সেনাবাহিনী মোতায়েন, আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তি

- আপডেট সময় ১২:০৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৬২ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর কাকরাইলে দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংঘর্ষ ও সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এ বিষয়ে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে কাকরাইল এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু একপর্যায়ে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করলে তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশ সদস্যদের ওপরও হামলা চালানো হয় এবং এতে কয়েকজন সদস্য আহত হন।
আইএসপিআর আরও জানায়, সংঘর্ষের শুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান। তাদের উদ্দেশে বলা হয়, বিদ্যমান আইন মেনে শান্তিপূর্ণভাবে স্থান ত্যাগ করতে এবং মতপার্থক্য শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করতে। কিন্তু বারবার অনুরোধ উপেক্ষা করে কিছু নেতা-কর্মী মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা চালান। তারা সংগঠিতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ করে এবং রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মশাল মিছিল বের করে সহিংসতা বাড়িয়ে তোলে। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এবং বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগেরও চেষ্টা চালানো হয়।
সহিংসতার কারণে বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়, জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত জননিরাপত্তা রক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় তারা। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্য আহত হন বলে আইএসপিআরের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সব ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের এই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে এবং জানাচ্ছে যে, জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সব সময় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে।