ঢাকা ১২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী-জনতা সংঘর্ষ, হাটহাজারীতে ১৪৪ ধারা জারি

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৫:২২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাটহাজারী উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জননিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হাটহাজারী পৌর এলাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে রোববার বিকেল ৩টা থেকে আগামীকাল (সোমবার) রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। এই সময়ে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ, সমাবেশ, অস্ত্র বহন, পাঁচজনের বেশি লোকের সমাবেশ ও যেকোনো ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে দারোয়ান কর্তৃক মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। দর্শন বিভাগের ওই ছাত্রী জানান, সময়মতো বাসায় ফেরার পরও দারোয়ান তাকে গালাগালি করে এবং প্রতিবাদ করলে তাকে চড়, ধাক্কা ও লাথি মারা হয়।

    এই ঘটনার জেরে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন, যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকজনের শরীরে দেশীয় অস্ত্রের আঘাত ছিল। রোববার দুপুরেও সংঘর্ষ চলছিল, যেখানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ আরিফসহ বহু শিক্ষার্থী আহত হন।

    আহত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দেখে চবির সিনিয়র মেডিকেল অফিসার মো. টিপু সুলতান বলেন, “একদিনে এত শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় আমি আগে কখনও দেখিনি।”

    এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১টার দিকে সহকারী প্রক্টররা পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থলে গেলেও স্থানীয়দের আধিপত্যের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী-জনতা সংঘর্ষ, হাটহাজারীতে ১৪৪ ধারা জারি

    আপডেট সময় ০৫:২২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাটহাজারী উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জননিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হাটহাজারী পৌর এলাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে রোববার বিকেল ৩টা থেকে আগামীকাল (সোমবার) রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। এই সময়ে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ, সমাবেশ, অস্ত্র বহন, পাঁচজনের বেশি লোকের সমাবেশ ও যেকোনো ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে দারোয়ান কর্তৃক মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। দর্শন বিভাগের ওই ছাত্রী জানান, সময়মতো বাসায় ফেরার পরও দারোয়ান তাকে গালাগালি করে এবং প্রতিবাদ করলে তাকে চড়, ধাক্কা ও লাথি মারা হয়।

    এই ঘটনার জেরে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন, যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকজনের শরীরে দেশীয় অস্ত্রের আঘাত ছিল। রোববার দুপুরেও সংঘর্ষ চলছিল, যেখানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ আরিফসহ বহু শিক্ষার্থী আহত হন।

    আহত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দেখে চবির সিনিয়র মেডিকেল অফিসার মো. টিপু সুলতান বলেন, “একদিনে এত শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় আমি আগে কখনও দেখিনি।”

    এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১টার দিকে সহকারী প্রক্টররা পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থলে গেলেও স্থানীয়দের আধিপত্যের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।