ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ইশতেহার ঘোষণা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১১:৫৭:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৬১ বার পড়া হয়েছে

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্যানেল। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘১২ মাস, ৩৬ সংস্কার’ শীর্ষক এ ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জয়ী হলে এসব সংস্কার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জোটটি।

    সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার পাঠ করেন এজিএস পদপ্রার্থী মহিউদ্দিন খান। এ সময় ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম, জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদসহ প্যানেলের অন্যান্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

    ইশতেহারে বলা হয়, ডাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ফ্যাসিবাদমুক্ত করা, ফ্যাসিবাদের চিহ্ন ও কাঠামো ভেঙে দেওয়া, গেস্টরুম ও গণরুম সংস্কৃতি চিরতরে বন্ধ করার অঙ্গীকার করা হয়।

    এছাড়া ১৫ জুলাই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্তৃক নৃশংস হামলার ঘটনায় জড়িতদের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনি শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। সাম্য, মোফাজ্জল ও আবু বকর হত্যাসহ ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত সব নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারও সংস্কার প্রস্তাবনায় গুরুত্ব পায়।

    আবাসন সমস্যার সমাধানে প্যানেল প্রতিশ্রুতি দেয়, প্রথম বর্ষ থেকেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা হবে। অস্থায়ী সমাধান হিসেবে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। স্থায়ী সমাধানে নতুন হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বলা হয়, হলে ও ক্যান্টিনগুলোতে পুষ্টিবিদের তত্ত্বাবধানে স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের মেন্যু চালু করা হবে এবং প্রতি তিন মাস অন্তর খাবারের মান পরীক্ষা করা হবে। প্রতিটি ফ্যাকাল্টিতে মানসম্মত ক্যান্টিন গড়ে তোলা, আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ‘মিল ভাউচার’ চালুর অঙ্গীকারও দেওয়া হয়।

    নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ইশতেহারে বিশেষ সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—ছাত্রী হলে পুরুষ কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে আনা, প্রক্টরিয়াল টিমে নারী সদস্য নিয়োগ, ছাত্রী হলে প্রবেশের বিধিনিষেধ শিথিল, অভিভাবকদের জন্য গার্ডিয়ান লাউঞ্জ, মাতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর, পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ক্লাস উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা শিথিল, ব্রেস্ট ফিডিং রুম ও চাইল্ড কেয়ার কর্নার স্থাপন।

    এছাড়া প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংকে ‘পেপারলেস সিস্টেমে’ রূপান্তরের প্রস্তাব করা হয়। বিদেশে উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশীদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করার অঙ্গীকারও ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
    প্যানেলের নেতারা বলেন, নির্বাচিত হলে ৩৬টি সংস্কারের প্রতিটি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক কাজ করবে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ইশতেহার ঘোষণা

    আপডেট সময় ১১:৫৭:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্যানেল। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘১২ মাস, ৩৬ সংস্কার’ শীর্ষক এ ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জয়ী হলে এসব সংস্কার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জোটটি।

    সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার পাঠ করেন এজিএস পদপ্রার্থী মহিউদ্দিন খান। এ সময় ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম, জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদসহ প্যানেলের অন্যান্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

    ইশতেহারে বলা হয়, ডাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ফ্যাসিবাদমুক্ত করা, ফ্যাসিবাদের চিহ্ন ও কাঠামো ভেঙে দেওয়া, গেস্টরুম ও গণরুম সংস্কৃতি চিরতরে বন্ধ করার অঙ্গীকার করা হয়।

    এছাড়া ১৫ জুলাই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্তৃক নৃশংস হামলার ঘটনায় জড়িতদের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনি শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। সাম্য, মোফাজ্জল ও আবু বকর হত্যাসহ ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত সব নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারও সংস্কার প্রস্তাবনায় গুরুত্ব পায়।

    আবাসন সমস্যার সমাধানে প্যানেল প্রতিশ্রুতি দেয়, প্রথম বর্ষ থেকেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা হবে। অস্থায়ী সমাধান হিসেবে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। স্থায়ী সমাধানে নতুন হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বলা হয়, হলে ও ক্যান্টিনগুলোতে পুষ্টিবিদের তত্ত্বাবধানে স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের মেন্যু চালু করা হবে এবং প্রতি তিন মাস অন্তর খাবারের মান পরীক্ষা করা হবে। প্রতিটি ফ্যাকাল্টিতে মানসম্মত ক্যান্টিন গড়ে তোলা, আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ‘মিল ভাউচার’ চালুর অঙ্গীকারও দেওয়া হয়।

    নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ইশতেহারে বিশেষ সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—ছাত্রী হলে পুরুষ কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে আনা, প্রক্টরিয়াল টিমে নারী সদস্য নিয়োগ, ছাত্রী হলে প্রবেশের বিধিনিষেধ শিথিল, অভিভাবকদের জন্য গার্ডিয়ান লাউঞ্জ, মাতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর, পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ক্লাস উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা শিথিল, ব্রেস্ট ফিডিং রুম ও চাইল্ড কেয়ার কর্নার স্থাপন।

    এছাড়া প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংকে ‘পেপারলেস সিস্টেমে’ রূপান্তরের প্রস্তাব করা হয়। বিদেশে উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশীদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করার অঙ্গীকারও ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
    প্যানেলের নেতারা বলেন, নির্বাচিত হলে ৩৬টি সংস্কারের প্রতিটি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক কাজ করবে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।