সুষ্ঠু নির্বাচনে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে বাংলাদেশ পুলিশ

- আপডেট সময় ০২:২২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরাপদ করতে দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাজী জিয়া উদ্দিন বলেন, “একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা দেড় লাখ বা তারও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রশিক্ষণ দেব।”
পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ (এইচআর) উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিন জানান, আসন্ন নির্বাচন দেশের ইতিহাসে একটি “মাইলফলক” হয়ে থাকবে। এ লক্ষ্যেই তার বিভাগ গত তিন মাসে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করেছে। তিনি বলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআর)-এর নেতৃত্বে এই কোর্স তৈরি করা হয়েছে, যা তিনি “দারুণ” বলে অভিহিত করেন।
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন যে এই কোর্স পুলিশ সদস্যদের যেকোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম করে তুলবে। নির্বাচনের সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় বাস্তবমুখী মহড়া প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের দেশজুড়ে ১৩০টি ছোট এবং চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রেই নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে দুটি প্রামাণ্যচিত্র, একটি ১৫ মিনিটের অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, একটি ৯ মিনিটের ফিল্ম এবং একটি বুকলেটও তৈরি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তরে মডিউল অনুযায়ী ১৫০ জন মাস্টার ট্রেইনারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে দেশের ১৯টি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আরও ১,২৯২ জন মাস্টার ট্রেইনার বা ‘ট্রেইনার অব ট্রেইনার্স (টিওটি)’ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তারাই পরবর্তীতে দেড় লাখের বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেবেন।
ডিআইজি জিয়া উদ্দিন জানান, প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে চলতি সপ্তাহের শেষে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে পুলিশ সদর দপ্তর। নির্বাচনকালীন সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।