প্লট দুর্নীতিতে শেখ হাসিনা-জয় ফেঁসে গেলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

- আপডেট সময় ০১:২৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৯ বার পড়া হয়েছে
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুটি পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল), ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এই আদেশ দেন। একটি মামলায় ১২ জন এবং অন্য মামলায় ১৭ জন আসামি রয়েছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিদের মধ্যে জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং শরীফ আহমেদ উল্লেখযোগ্য। শেষের দুইজন মামলার তদন্তে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
জানা গেছে, পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পৃথক আটটি অভিযোগপত্র দাখিল করে।
মামলাগুলো গত জানুয়ারির ১২, ১৩ ও ১৪ তারিখে দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা সরকারের উচ্চ পদে থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর সড়কের ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেন, যা পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
দেড় দশক দেশ শাসনের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন এবং তখন থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন।