০৭:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

বিদেশি ঋণ নিতে হলে পরামর্শকের বোঝা ঘাড়ে নিতে হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৬:১৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

বিদেশি বড় ঋণ নিতে হলে বিদেশি পরামর্শকের বোঝা ঘাড়ে নিতেই হবে, মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। রবিবার (২০ এপ্রিল) একনেক সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ দিন চট্টগ্রাম বে টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়নসহ ১৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, চট্টগ্রাম বে টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৯ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা আসবে বিশ্বব্যাংক থেকে এবং বাকি ৪ হাজার ১৯২ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে খরচ হবে।

তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর আসলে একটি সমুদ্রবন্দর নয়, এটি একটি নদীবন্দর। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি সঠিক সমুদ্রবন্দর প্রয়োজন। এজন্য বে টার্মিনালটির অবকাঠামো উন্নয়নে একটি মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এর একটি প্রকল্প আজ অনুমোদিত হয়েছে, আরেকটি প্রকল্প পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মাধ্যমে নেয়া হবে।”

এছাড়া, পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এই মেগাপ্রকল্পের আওতায় চারটি টার্মিনাল তৈরি হবে, যা দেশের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হবে।

বিদেশি ঋণের প্রসঙ্গে অধ্যাপক মাহমুদ বলেন, “যেকোনো বড় বিদেশি ঋণ নিতে হলে অবশ্যই পরামর্শকের সহায়তা নিতে হবে। কারণ, তারা ঋণ দেয়ার আগে এই পরামর্শকের সঙ্গে কাজ করতে চায়। আমাদের বাধ্য হয়ে এসব পরামর্শক নিতে হয়।”

একই সময় তিনি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্পর্কেও মন্তব্য করেন। বলেন, “রাজনৈতিকভাবে যুক্ত হওয়ার কারণে প্রায় ৫০ শতাংশ প্রকৃত ভাতা পাওয়ার যোগ্য নয়। উপকারভোগী বাছাইয়ে অনেক ক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করা হয়েছিল।”

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনাসচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন এবং পরিকল্পনা কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদেশি ঋণ নিতে হলে পরামর্শকের বোঝা ঘাড়ে নিতে হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৬:১৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

বিদেশি বড় ঋণ নিতে হলে বিদেশি পরামর্শকের বোঝা ঘাড়ে নিতেই হবে, মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। রবিবার (২০ এপ্রিল) একনেক সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ দিন চট্টগ্রাম বে টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়নসহ ১৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, চট্টগ্রাম বে টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৯ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা আসবে বিশ্বব্যাংক থেকে এবং বাকি ৪ হাজার ১৯২ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে খরচ হবে।

তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর আসলে একটি সমুদ্রবন্দর নয়, এটি একটি নদীবন্দর। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি সঠিক সমুদ্রবন্দর প্রয়োজন। এজন্য বে টার্মিনালটির অবকাঠামো উন্নয়নে একটি মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এর একটি প্রকল্প আজ অনুমোদিত হয়েছে, আরেকটি প্রকল্প পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মাধ্যমে নেয়া হবে।”

এছাড়া, পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এই মেগাপ্রকল্পের আওতায় চারটি টার্মিনাল তৈরি হবে, যা দেশের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হবে।

বিদেশি ঋণের প্রসঙ্গে অধ্যাপক মাহমুদ বলেন, “যেকোনো বড় বিদেশি ঋণ নিতে হলে অবশ্যই পরামর্শকের সহায়তা নিতে হবে। কারণ, তারা ঋণ দেয়ার আগে এই পরামর্শকের সঙ্গে কাজ করতে চায়। আমাদের বাধ্য হয়ে এসব পরামর্শক নিতে হয়।”

একই সময় তিনি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্পর্কেও মন্তব্য করেন। বলেন, “রাজনৈতিকভাবে যুক্ত হওয়ার কারণে প্রায় ৫০ শতাংশ প্রকৃত ভাতা পাওয়ার যোগ্য নয়। উপকারভোগী বাছাইয়ে অনেক ক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করা হয়েছিল।”

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনাসচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন এবং পরিকল্পনা কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।