ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

রেমাক্রির ঝিরিমুখে ‘জলকেলি উৎসব’, অংশ নেয় আরাকান আর্মি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৪:১৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৭১ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের ঝিরিমুখ এলাকায় ‘জলকেলি উৎসব’ নামে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির ইউনিফর্মধারী ও অস্ত্রধারী সদস্যরা। গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল (বুধ ও বৃহস্পতিবার) এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, যা সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে।

এই উৎসবের একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে আরাকান আর্মির সদস্যদের প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ মঞ্চে অবস্থান করতে দেখা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘আরাকান ওয়াটার ফেস্টিভ্যাল’ নামে পরিচিত এ অনুষ্ঠানটি আরাকান আর্মি এবং তাদের রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লিগ অব আরাকানের (ইউএলএ) অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মারমা ও অন্যান্য স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছিল।

অনুষ্ঠানে বক্তারা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন। তারা বলেন, “আমরা অতীতে বিচ্ছিন্ন ছিলাম, কিন্তু এখন আমাদের প্রয়োজন একতাবদ্ধ হওয়া।”

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার গণমাধ্যমকে জানান, “আমরা শুনেছি আরাকান আর্মির কিছু সদস্য থানচিতে বৈসাবি উৎসবে অংশ নিয়েছেন। বিষয়টি কতটা সত্য তা জানার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে।”

এই ঘটনায় সীমান্ত নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত করছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

রেমাক্রির ঝিরিমুখে ‘জলকেলি উৎসব’, অংশ নেয় আরাকান আর্মি

আপডেট সময় ০৪:১৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের ঝিরিমুখ এলাকায় ‘জলকেলি উৎসব’ নামে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির ইউনিফর্মধারী ও অস্ত্রধারী সদস্যরা। গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল (বুধ ও বৃহস্পতিবার) এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, যা সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে।

এই উৎসবের একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে আরাকান আর্মির সদস্যদের প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ মঞ্চে অবস্থান করতে দেখা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘আরাকান ওয়াটার ফেস্টিভ্যাল’ নামে পরিচিত এ অনুষ্ঠানটি আরাকান আর্মি এবং তাদের রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লিগ অব আরাকানের (ইউএলএ) অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মারমা ও অন্যান্য স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছিল।

অনুষ্ঠানে বক্তারা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন। তারা বলেন, “আমরা অতীতে বিচ্ছিন্ন ছিলাম, কিন্তু এখন আমাদের প্রয়োজন একতাবদ্ধ হওয়া।”

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার গণমাধ্যমকে জানান, “আমরা শুনেছি আরাকান আর্মির কিছু সদস্য থানচিতে বৈসাবি উৎসবে অংশ নিয়েছেন। বিষয়টি কতটা সত্য তা জানার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে।”

এই ঘটনায় সীমান্ত নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত করছে।