ঢাকা ০৬:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেসসচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৫:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। সোমবার (২১ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, দুর্নীতি, খুনসহ গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত যেসব নেতা বিদেশে অবস্থান করছেন, তাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শফিকুল আলম বলেন, “এই ব্যক্তিরা দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। তাদের প্রত্যেককে দেশের আইনের মুখোমুখি হতে হবে।”

প্রেসসচিব আরও বলেন, “এটা শুধু বর্তমান সরকারের নয়, ভবিষ্যৎ যেকোনো সরকারেরও নৈতিক দায়িত্ব। আমরা আমাদের মেয়াদে এই কাজ শেষ করতে চাই। যদি সম্ভব না হয়, পরবর্তী সরকার যেন এটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।”

তিনি অভিযোগ করেন, পলাতক নেতাদের ব্যাংক হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে—তাদের এক একজনের অ্যাকাউন্টে ৮০০ থেকে ১২০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে, যা অত্যন্ত অস্বাভাবিক। “একজন সচিব বা মন্ত্রীর স্বাভাবিক আয়ের সাথে এসব টাকার তুলনা করলে প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক,” বলেন তিনি।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, “দেশের জনগণের টাকা যারা আত্মসাৎ করেছে এবং বিদেশে পালিয়ে রয়েছে—তাদের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করাই সরকারের পরিষ্কার বার্তা।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেসসচিব

আপডেট সময় ০৫:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। সোমবার (২১ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, দুর্নীতি, খুনসহ গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত যেসব নেতা বিদেশে অবস্থান করছেন, তাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শফিকুল আলম বলেন, “এই ব্যক্তিরা দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। তাদের প্রত্যেককে দেশের আইনের মুখোমুখি হতে হবে।”

প্রেসসচিব আরও বলেন, “এটা শুধু বর্তমান সরকারের নয়, ভবিষ্যৎ যেকোনো সরকারেরও নৈতিক দায়িত্ব। আমরা আমাদের মেয়াদে এই কাজ শেষ করতে চাই। যদি সম্ভব না হয়, পরবর্তী সরকার যেন এটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।”

তিনি অভিযোগ করেন, পলাতক নেতাদের ব্যাংক হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে—তাদের এক একজনের অ্যাকাউন্টে ৮০০ থেকে ১২০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে, যা অত্যন্ত অস্বাভাবিক। “একজন সচিব বা মন্ত্রীর স্বাভাবিক আয়ের সাথে এসব টাকার তুলনা করলে প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক,” বলেন তিনি।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, “দেশের জনগণের টাকা যারা আত্মসাৎ করেছে এবং বিদেশে পালিয়ে রয়েছে—তাদের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করাই সরকারের পরিষ্কার বার্তা।”