০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশে এ বছর আরও ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৪:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশে নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে পড়তে পারে। বুধবার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনীতির ধীরগতি এবং শ্রমবাজারের দুর্বল অবস্থার কারণে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের ওপর বেশি প্রভাব পড়ছে। এতে তাদের প্রকৃত আয় কমে যেতে পারে। ফলে সমাজে বৈষম্য আরও বাড়বে।

বিশ্বব্যাংকের হিসেবে, যাদের দৈনিক আয় ২.১৫ ডলারের কম, তারা হতদরিদ্র। ২০২২ সালে বাংলাদেশে এই হার ছিল ৫ শতাংশ। কিন্তু ২০২৫ সালে তা বেড়ে ৯.৩ শতাংশ হতে পারে।

এছাড়া জাতীয় দারিদ্র্যের হারও বাড়তে পারে। ২০২২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮.৭ শতাংশ, যা এ বছর বেড়ে ২২.৯ শতাংশ হতে পারে।

এর আগে বিশ্বব্যাংকের ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশ হতে পারে। গত জানুয়ারিতে তারা ৪.১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল।

তবে আগামী অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৪.৯ শতাংশ হতে পারে বলে নতুন পূর্বাভাসে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থনৈতিক চাপের কারণে গরিব ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জীবনযাত্রা আরও কঠিন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি জোরদার করা এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের গতি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

এছাড়া শ্রমবাজারে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে এ বছর আরও ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক

আপডেট সময় ০৪:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশে নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে পড়তে পারে। বুধবার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনীতির ধীরগতি এবং শ্রমবাজারের দুর্বল অবস্থার কারণে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের ওপর বেশি প্রভাব পড়ছে। এতে তাদের প্রকৃত আয় কমে যেতে পারে। ফলে সমাজে বৈষম্য আরও বাড়বে।

বিশ্বব্যাংকের হিসেবে, যাদের দৈনিক আয় ২.১৫ ডলারের কম, তারা হতদরিদ্র। ২০২২ সালে বাংলাদেশে এই হার ছিল ৫ শতাংশ। কিন্তু ২০২৫ সালে তা বেড়ে ৯.৩ শতাংশ হতে পারে।

এছাড়া জাতীয় দারিদ্র্যের হারও বাড়তে পারে। ২০২২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮.৭ শতাংশ, যা এ বছর বেড়ে ২২.৯ শতাংশ হতে পারে।

এর আগে বিশ্বব্যাংকের ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশ হতে পারে। গত জানুয়ারিতে তারা ৪.১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল।

তবে আগামী অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৪.৯ শতাংশ হতে পারে বলে নতুন পূর্বাভাসে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থনৈতিক চাপের কারণে গরিব ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জীবনযাত্রা আরও কঠিন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি জোরদার করা এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের গতি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

এছাড়া শ্রমবাজারে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।