ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

মনপুরা দ্বীপে বিদ্যুৎ মেলে মাত্র ৩ ঘণ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০২:২৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৭৯ বার পড়া হয়েছে

ভোলার মনপুরা দ্বীপে বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছেন দেড় লাখ বাসিন্দা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ধ্যার পর মাত্র ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। সোলার, আইপিএস ও জেনারেটরের বিদ্যুতের জন্য বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) মনপুরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। তারা জানিয়েছে, সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার কাজ চলছে। এছাড়া সোলার প্ল্যান্ট বসানোর কাজও এগোচ্ছে। এসব শেষ হলে সংকট কমবে।

বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা ও সরকারি কাজে সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, দিনে বিদ্যুৎ থাকে না, রাতে ২-৩ ঘণ্টা পাওয়া যায়। এতে পড়াশোনা, পানি তোলা, মোবাইল চার্জ, টিভি-ফ্রিজ ব্যবহার কঠিন হয়ে পড়েছে।

হাসপাতালেও বিদ্যুৎ সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। সোলার ও জেনারেটর থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। কম ভোল্টেজে ফ্যান, যন্ত্রপাতি ও কম্পিউটার ঠিকমতো চলে না। ল্যাবে পরীক্ষাও করা যাচ্ছে না।

ওজোপাডিকো জানায়, ৪টি জেনারেটরের ২টি নষ্ট। ফলে ১৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে মাত্র ৪২০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। তবে ৩ মেগাওয়াটের সোলার প্ল্যান্ট ও সাবমেরিন ক্যাবলের কাজ শেষ হলে সমস্যা কমবে।

মনপুরার প্রকৌশলী কে এম ফরিদুল ইসলাম বলেন, সোলার প্ল্যান্ট ও সাবমেরিন ক্যাবলের কাজ শেষ হলে সবাই বিদ্যুৎ পাবেন। বর্তমানে দুটি বেসরকারি সোলার প্ল্যান্ট থেকে ৫০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে, যার জন্য গ্রাহকদের প্রতি ইউনিটে ৩৫ টাকা দিতে হচ্ছে। জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে এটি ৬-৭ টাকায় নেমে আসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মনপুরা দ্বীপে বিদ্যুৎ মেলে মাত্র ৩ ঘণ্টা

আপডেট সময় ০২:২৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

ভোলার মনপুরা দ্বীপে বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছেন দেড় লাখ বাসিন্দা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ধ্যার পর মাত্র ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। সোলার, আইপিএস ও জেনারেটরের বিদ্যুতের জন্য বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) মনপুরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। তারা জানিয়েছে, সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার কাজ চলছে। এছাড়া সোলার প্ল্যান্ট বসানোর কাজও এগোচ্ছে। এসব শেষ হলে সংকট কমবে।

বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা ও সরকারি কাজে সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, দিনে বিদ্যুৎ থাকে না, রাতে ২-৩ ঘণ্টা পাওয়া যায়। এতে পড়াশোনা, পানি তোলা, মোবাইল চার্জ, টিভি-ফ্রিজ ব্যবহার কঠিন হয়ে পড়েছে।

হাসপাতালেও বিদ্যুৎ সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। সোলার ও জেনারেটর থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। কম ভোল্টেজে ফ্যান, যন্ত্রপাতি ও কম্পিউটার ঠিকমতো চলে না। ল্যাবে পরীক্ষাও করা যাচ্ছে না।

ওজোপাডিকো জানায়, ৪টি জেনারেটরের ২টি নষ্ট। ফলে ১৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে মাত্র ৪২০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। তবে ৩ মেগাওয়াটের সোলার প্ল্যান্ট ও সাবমেরিন ক্যাবলের কাজ শেষ হলে সমস্যা কমবে।

মনপুরার প্রকৌশলী কে এম ফরিদুল ইসলাম বলেন, সোলার প্ল্যান্ট ও সাবমেরিন ক্যাবলের কাজ শেষ হলে সবাই বিদ্যুৎ পাবেন। বর্তমানে দুটি বেসরকারি সোলার প্ল্যান্ট থেকে ৫০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে, যার জন্য গ্রাহকদের প্রতি ইউনিটে ৩৫ টাকা দিতে হচ্ছে। জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে এটি ৬-৭ টাকায় নেমে আসবে।