ইউক্রেনে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

- আপডেট সময় ০৭:০৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
- / ৮ বার পড়া হয়েছে
এবার ইউক্রেন যুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, আগামী ৮ থেকে ১০ মে পর্যন্ত, টানা তিন দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছেন। এই যুদ্ধবিরতি রাশিয়ার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি সময়ে ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামি ৯ মে, রাশিয়ার ‘ভিক্টরি ডে’, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির স্মরণে পালিত হয়। ক্রেমলিন আশা প্রকাশ করেছে, ইউক্রেনও এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানাবে। তবে, একই সাথে তারা সতর্ক করেছে, যদি ইউক্রেন এই চুক্তি ভঙ্গ করে, তাহলে রুশ সেনাবাহিনী ‘উপযুক্ত ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া’ জানাতে বাধ্য হবে।
এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পেছনে রাশিয়ার কৌশলগত কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন পুনরায় অর্জন করা। সম্প্রতি, ট্রাম্প রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের বেসামরিক এলাকায় ক্রমাগত বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন।
এমনকি তিনি এও বলেছিলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, শান্তি চুক্তির বিনিময়ে ক্রিমিয়া ছেড়ে দিতেও প্রস্তুত। পুতিনের এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা, ট্রাম্পের সেই হতাশা কিছুটা হলেও প্রশমিত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আরেকটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তাদের সেনারা প্রথমবারের মতো ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে অংশগ্রহণ করছে।
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন, এই সেনা মোতায়েনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেছেন, “ইউক্রেনীয় নাৎসি দখলদারদের নিশ্চিহ্ন করে কুর্স্ক অঞ্চলকে মুক্ত করা।” উত্তর কোরিয়ার এই ঘোষণা, ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
পুতিনের এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাধ্যমে, রাশিয়া একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক মহলে একটি শান্তির বার্তা দিতে চাইছে, অন্যদিকে, তারা ইউক্রেনের উপর চাপ বজায় রাখার কৌশলও অবলম্বন করছে।
এখন দেখার বিষয়, ইউক্রেন এই যুদ্ধবিরতিতে সাড়া দেয় কিনা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই পরিস্থিতিতে কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ, এই সংঘাতকে আরও জটিল করে তুলেছে, যা বিশ্বশান্তির জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগামী তিন দিন, ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।