চট্টগ্রাম টেস্ট
শেষ বিকেলে তাইজুলের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ

- আপডেট সময় ০৬:৫৮:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
- / ৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশে সফররত জিম্বাবুয়ে প্রথম সেশনে দুই উইকেটে ৮৯ রান করে মধ্যাহ্নবিরতিতে যায়। এরপর মধ্যাহ্নবিরতি থেকে ফিরে এসে উইকেটের দেখাই পায়নি টাইগাররা। ফলে একটা সময় দুই উইকেটেই ১৭৭ রান তুলে ফেলেছিল টাইগাররা। বড় সংগ্রহের চোখ রাঙানি দিচ্ছিল সফরকারীরা। সেখান থেকে স্পিনার তাইজুল ইসলামের ভেলকিতে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ালো শান্তরা।
চট্টগ্রামে শেষ বিকেলে বল হাতে রীতিমত ঘূর্ণি জাদু দেখিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৬তম পাঁচ উইকেট। এর মধ্যে দিয়ে জিম্বাবুয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে। ২১৭ রানে নবম উইকেট হারায় সফরকারীরা। এরপর দিনের শেষভাগে ৫ ওভার কাটিয়ে দিয়েছেন ব্লেসিং মুজারবানি আর তাফাদজাওয়া টিসিগা। এর মধ্যে টিসিগা ১৮ রানে আর মুজারবানি ২ রানে অপরাজিত আছেন।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সোমবার (২৮ এপ্রিল) টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের প্রত্যাশা ছিল শুরুর দিকেই জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরবে। কিন্তু সেটি আর হয়নি।
সদ্য অভিষেক হওয়া পেসার তানজিম হাসান সাকিব ইনিংসের ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন। জিম্বাবুয়ে ওপেনার ব্রায়ান বেনেটকে (৩৩ বলে ২১) অফসাইডে এক্সট্রা বাউন্স দিয়ে উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিকের ক্যাচ বানান তানজিম। জিম্বাবুয়ে ৪১ রানে প্রথম উইকেট হারায়।
তাইজুল ইসলাম চট্টগ্রামে বোলিংয়ে এসেই শিকার ধরেন। উইকেটে সেট হওয়া জিম্বাবুয়ে ওপেনার বেন কারেনকে ইনিংসের ১৯তম ওভারে দুর্দান্ত এক ডেলিবারিতে বোল্ড করেন বাঁহাতি স্পিনার। এ সময় কারেন ৫০ বলে ২১ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন। দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে দলীয় ৭২ রানে।
তৃতীয় উইকেটে উইলিয়ামস ও নিকোলাস ওয়েলচ ১০৫ রানের জুটি করে জিম্বাবুয়েকে অনেক দূর এগিয়ে দেন।
অবশেষে সফরকারীদের ১০৫ রানের জুটি ভেঙেছে নিকোলাস ওয়েলচ রিটায়ার্ট হার্ট হওয়ার ফলে। ১৩১ বলে ৫৪ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। জিম্বাবুয়ের দলীয় রান তখন ১৬২।
এরপর স্পিনার নাঈম হাসান নতুন ব্যাটার ক্রেইগ আরভিনকে আউট করেন। সাজঘরে ফেরত যান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ৩১ বলে ৫ রান করে। আরভিনকে উইকেটরক্ষক জাকের আলীর ক্যাচ বানান নাঈম। দলীয় রান তখন ১৭৭।
আবারও আঘাত হানেন নাঈম। তখন জিম্বাবুয়ে মাত্র স্কোরকার্ডে ১ রান যোগ করতে পেরেছিল। ডানহাতি স্পিনার এবার আউট করেন উইকেটে আঠার মতো লেগে থাকা শন উইলিয়ামসকে। ১৬৬ বলে ৬৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটার। ১৭৮ রানে ৪ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
সেট হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ওয়েসলে মাদভেরে । ১৫ রান করতে ৩২ বল খরচ করেন তিনি। এরপর করে তাইজুলের শিকার হন মাদভেরে। উইকেটরক্ষক জাকের আলী বল গ্লাভসে নিতে না পারলেও বুকে চেপে ধরে আটকে রাখেন। তাইজুলের আরেক উইকে এক ওভার পর।
অভিজ্ঞ এই স্পিনারের বল আকাশে উড়িয়ে মাঠছাড়া করেছিলেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। সেই ছক্কাই যেন বিপদ ডেকে আনে জিম্বাবুয়ের। পরের বলেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন মাসাকাদজা। লোয়ার অর্ডার এই ব্যাটারের রান তখন ওই একটি ছক্কাই। কাজ হয়নি রিভিউ নিয়েও। ওই ওভারে (দলীয় ৮১তম) ঠিক পরের বলে শূন্য রানে বোল্ড হন রিচার্ড এনগারাভা (০)।
এরপর দুই রান নিতে গিয়ে মিরাজের থ্রোতে রানআউট হন ননস্ট্রাইক এন্ডে থাকা ব্যাটসম্যান ভিনসেন্ট মাসেকেসা (৮)।
এই উইকেট পতনের পর মাঠে আসেন এর আগে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া নিক ওয়েলচ। কিন্তু এবার আর টিকতে পারেননি তিনি। তাইজুলের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওয়েলচ (৫৪)।