১২:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ ৩৬ অফিসে দুদকের সাঁড়াশি অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আগারগাওঁয়ের প্রধান কার্যালয়সহ দেশের ৩৬টি গুরুত্বপূর্ণ অফিসে আজ মঙ্গলবার একযোগে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে। এই আকস্মিক অভিযানে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রেখে বিল উত্তোলন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি।

সকাল থেকেই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা রাজধানী এবং দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার এলজিইডি অফিসে অভিযান শুরু করেন। এই বিশেষ অভিযানে দুদকের ৩৬টি এনফোর্সমেন্ট টিম অংশ নিয়েছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ এই অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

দুদকের কর্মকর্তা, সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা ও মনির মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করছে। একই সময়ে ঢাকা বিভাগের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলজিইডি অফিস যেমন কেরানীগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল ও মাদারীপুরেও দুদকের দল অভিযান চালাচ্ছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, শতোর্ধ্ব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এই সমন্বিত অভিযান চালানো হচ্ছে। এসব অভিযোগের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না করে অর্থ উত্তোলন, অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার, নজরদারি ছাড়াই রাস্তাঘাট, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ এবং বিভিন্ন স্তরে ঘুষ লেনদেনের মতো গুরুতর বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় এলজিইডি অফিসের অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের প্রধান উপপরিচালক মশিউর রহমান বলেন, “নিম্নমানের কাজের অভিযোগ, বিলের ক্ষেত্রে জালিয়াতি এবং ঘুষ লেনদেনের মতো স্পর্শকাতর অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের তদন্ত দল মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।”

এই ব্যাপক অভিযানের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম ১ ও ২, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার; ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ ও জামালপুর; সিলেট বিভাগের সিলেট ও হবিগঞ্জ; খুলনা বিভাগের খুলনা, যশোর, বাগেরহাট ও ঝিনাইদহ; বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর; রাজশাহী বিভাগের পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী ও নওগাঁ এবং রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, রংপুর ও কুড়িগ্রামেও একযোগে অভিযান চলছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ ৩৬ অফিসে দুদকের সাঁড়াশি অভিযান

আপডেট সময় ০১:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আগারগাওঁয়ের প্রধান কার্যালয়সহ দেশের ৩৬টি গুরুত্বপূর্ণ অফিসে আজ মঙ্গলবার একযোগে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে। এই আকস্মিক অভিযানে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রেখে বিল উত্তোলন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি।

সকাল থেকেই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা রাজধানী এবং দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার এলজিইডি অফিসে অভিযান শুরু করেন। এই বিশেষ অভিযানে দুদকের ৩৬টি এনফোর্সমেন্ট টিম অংশ নিয়েছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ এই অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

দুদকের কর্মকর্তা, সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা ও মনির মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করছে। একই সময়ে ঢাকা বিভাগের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলজিইডি অফিস যেমন কেরানীগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল ও মাদারীপুরেও দুদকের দল অভিযান চালাচ্ছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, শতোর্ধ্ব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এই সমন্বিত অভিযান চালানো হচ্ছে। এসব অভিযোগের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না করে অর্থ উত্তোলন, অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার, নজরদারি ছাড়াই রাস্তাঘাট, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ এবং বিভিন্ন স্তরে ঘুষ লেনদেনের মতো গুরুতর বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় এলজিইডি অফিসের অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের প্রধান উপপরিচালক মশিউর রহমান বলেন, “নিম্নমানের কাজের অভিযোগ, বিলের ক্ষেত্রে জালিয়াতি এবং ঘুষ লেনদেনের মতো স্পর্শকাতর অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের তদন্ত দল মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।”

এই ব্যাপক অভিযানের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম ১ ও ২, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার; ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ ও জামালপুর; সিলেট বিভাগের সিলেট ও হবিগঞ্জ; খুলনা বিভাগের খুলনা, যশোর, বাগেরহাট ও ঝিনাইদহ; বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর; রাজশাহী বিভাগের পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী ও নওগাঁ এবং রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, রংপুর ও কুড়িগ্রামেও একযোগে অভিযান চলছে।