০৫:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

হুথি বিদ্রোহীদের হামলা থেকে বাঁচতে সাগরে ডুবলো মার্কিন যুদ্ধবিমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০৫:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

প্রায় ৬ কোটি ডলারের একটি যুদ্ধবিমান ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলা থেকে বাঁচতে সাগরে ডুবে গেছে। ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান নামের মার্কিন বিমানবাহী রণতরী থেকে দেশটির নৌবাহিনীর একটি এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান সাগরে ডুবে গেছে।  নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে স্থানীয় সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর সিএনএন।

প্রাথমিক তথ্য অনুসারে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, রণতরীটি হুথি বিদ্রোহীদের হামলা এড়াতে সরে যাওয়ার জন্য বাঁক নিয়েছিল। সে সময়ই এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমানটি সাগরে পড়ে যায়।

হুথি বিদ্রোহীরা এর আগে সোমবার বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ট্রুম্যানকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করে। দীর্ঘদিন ধরেই লোহিত সাগরে হুথিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের মার্কিন অভিযানে অংশ নিতে ওই রণতরীটি অবস্থান করছিল।

এক নাবিক এই ঘটনায় সামান্য আহত হয়েছেন। অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধবিমানটি ডুবে গেছে। নৌবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একেকটি এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমানের দাম ৬ কোটি ডলারের বেশি (বাংলাদেশি টাকায় ৭২৫ কোটি ৯০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা) বেশি।

যুক্তরাষ্ট্র এর আগে দফায় দফায় ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে আরও হামলা চালিয়েছে। হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে, ইয়েমেনে মার্কিন বাহিনী আরও হামলা চালিয়েছে। সাদা শহরে দুই দফা হামলা এবং বারাত আল আনান জেলায় চার বার হামলা চালানো হয়েছে।

আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, রাজধানী সানার উত্তরে বানি আল হারিস জেলায় মার্কিন হামলায় শিশুসহ আটজন নিহত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহেও ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে। মার্কিন বিমান হামলায় দেশটির রাজধানী সানায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন।

সে সময় হুতি নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সাবা জানায়, এই হামলা চালানো হয় রাজধানী সানার ফারওয়া জেলায় একটি বাজার ও আবাসিক এলাকায়। তাছাড়া মারিব প্রদেশের রাজধানী মারিব শহর, পশ্চিমাঞ্চলীয় হোদেইদা ও হুতিদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সাদা প্রদেশেও হামলা চালানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র গত ১৭ এপ্রিল ইয়েমেনের রাস ইসা জ্বালানি বন্দরেও ব্যাপক হামলা চালায়। এতে নিহত হয় ৮০ জন। আহত হয় আরও ১৫০ জনের বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী গত এক মাস ধরেই ইয়েমেনে নিয়মিতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি, ইরান সমর্থিত হুথিদের হামলা থেকে উপসাগরীয় অঞ্চলে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল রক্ষায় তারা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

হুথি বিদ্রোহীদের হামলা থেকে বাঁচতে সাগরে ডুবলো মার্কিন যুদ্ধবিমান

আপডেট সময় ০৫:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

প্রায় ৬ কোটি ডলারের একটি যুদ্ধবিমান ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলা থেকে বাঁচতে সাগরে ডুবে গেছে। ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান নামের মার্কিন বিমানবাহী রণতরী থেকে দেশটির নৌবাহিনীর একটি এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান সাগরে ডুবে গেছে।  নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে স্থানীয় সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর সিএনএন।

প্রাথমিক তথ্য অনুসারে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, রণতরীটি হুথি বিদ্রোহীদের হামলা এড়াতে সরে যাওয়ার জন্য বাঁক নিয়েছিল। সে সময়ই এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমানটি সাগরে পড়ে যায়।

হুথি বিদ্রোহীরা এর আগে সোমবার বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ট্রুম্যানকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করে। দীর্ঘদিন ধরেই লোহিত সাগরে হুথিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের মার্কিন অভিযানে অংশ নিতে ওই রণতরীটি অবস্থান করছিল।

এক নাবিক এই ঘটনায় সামান্য আহত হয়েছেন। অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধবিমানটি ডুবে গেছে। নৌবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একেকটি এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমানের দাম ৬ কোটি ডলারের বেশি (বাংলাদেশি টাকায় ৭২৫ কোটি ৯০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা) বেশি।

যুক্তরাষ্ট্র এর আগে দফায় দফায় ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে আরও হামলা চালিয়েছে। হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে, ইয়েমেনে মার্কিন বাহিনী আরও হামলা চালিয়েছে। সাদা শহরে দুই দফা হামলা এবং বারাত আল আনান জেলায় চার বার হামলা চালানো হয়েছে।

আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, রাজধানী সানার উত্তরে বানি আল হারিস জেলায় মার্কিন হামলায় শিশুসহ আটজন নিহত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহেও ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে। মার্কিন বিমান হামলায় দেশটির রাজধানী সানায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন।

সে সময় হুতি নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সাবা জানায়, এই হামলা চালানো হয় রাজধানী সানার ফারওয়া জেলায় একটি বাজার ও আবাসিক এলাকায়। তাছাড়া মারিব প্রদেশের রাজধানী মারিব শহর, পশ্চিমাঞ্চলীয় হোদেইদা ও হুতিদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সাদা প্রদেশেও হামলা চালানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র গত ১৭ এপ্রিল ইয়েমেনের রাস ইসা জ্বালানি বন্দরেও ব্যাপক হামলা চালায়। এতে নিহত হয় ৮০ জন। আহত হয় আরও ১৫০ জনের বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী গত এক মাস ধরেই ইয়েমেনে নিয়মিতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি, ইরান সমর্থিত হুথিদের হামলা থেকে উপসাগরীয় অঞ্চলে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল রক্ষায় তারা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।