ট্রাম্পের চমকপ্রদ দাবি
“আমি শুধু যুক্তরাষ্ট্র নই, পুরো বিশ্ব চালাচ্ছি”

- আপডেট সময় ০৮:০০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৯ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিনব এক দাবি করেছেন যে, তিনি এখন কেবল যুক্তরাষ্ট্রই নয়, বরং সমগ্র বিশ্ব পরিচালনা করছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ১০০ দিন উপলক্ষে দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প বলেন, “প্রথম মেয়াদে আমার দুটি কাজ ছিল – দেশ চালানো এবং টিকে থাকা। তখন চারপাশে ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত লোকজন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমি এখন দেশ এবং পুরো বিশ্ব পরিচালনা করছি, আর এতে আমি প্রচুর আনন্দ পাচ্ছি।”
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি বেশ উচ্ছ্বসিত থাকেন এবং তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের প্রখর প্রকাশ দেখা যায়।
ট্রাম্প নিজেও এ বিষয়ে মন্তব্য করেন, “আমি যা করি তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আমি এতে আনন্দ পাই। এটি মজার একটি বিষয়, যদিও এটি খুবই গুরুদায়িত্বপূর্ণ কাজ।”
আরও পড়ুন : নির্বাচনে জয়ের পর ট্রাম্পকে কড়া সমালোচনা কার্নির
সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। তবে ট্রাম্প পূর্বে একাধিকবার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি তৃতীয়বারের মতোও নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন।
এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে ট্রাম্প হয়তো নির্বাচন ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করছেন। এই গুজব আরও শক্তিশালী হয়েছে যখন ট্রাম্পের অফিসিয়াল অনলাইন স্টোরে “ট্রাম্প ২০২৮” লেখা পণ্য দেখা গেছে।
তবে এবার ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় জানান, “তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার কোনো পরিকল্পনা আমার নেই। এটি করার কথা আমি ভাবছি না। বরং এটি খুবই জটিল একটি বিষয় হবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্য হয়তো সাময়িকভাবে বিতর্ক প্রশমিত করবে, কিন্তু “ট্রাম্প ২০২৮” ইস্যুটি ভবিষ্যতে আরও আলোচনার জন্ম দিতে পারে।
বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে আত্মবিশ্বাসী মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ট্রাম্প নিজেও দাবি করেন, তার দ্বিতীয় মেয়াদ প্রথমবারের তুলনায় অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত ও কার্যকর হচ্ছে। তবে বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন নেতৃত্বের ভূমিকা এবং ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে।