০৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল

স্বাগতিক আর্সেনালকে স্তব্ধ করে দিয়ে পিএসজির জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ১২:১৮:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

প্যারিসিয়ান সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় কখনোই আর্সেনালকে হারাতে পারেনি। মিকেল আর্তেতার দলটিকে সেই ফরাসিরাই প্রথমবার হারালো তাদেরই মাঠে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উসমান দেম্বেলের একমাত্র গোলে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ থেকে জয় নিয়ে ফিরছে পিএসজি। লুইস এনরিকের দল ১-০ গোলের জয়ে ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে পিএসজিকে আতিথ্য দিয়েছে আর্সেনাল। ফুটবলবিষয়ক ইতিহাসবিদ ম্যাট বার্টজের মতে, ১৯৯৫ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি দু’দল মিলিয়ে সবচেয়ে তরুণ-নির্ভর সেমিফাইনাল। এ ছাড়া এ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫৮৩৮ দিন পর স্বাগতিকরা প্রথম সেমিফাইনাল খেলতে নামল। যেখানে উসমান দেম্বেলে মাত্র চতুর্থ মিনিটেই গোল দিয়ে স্বাগতিক শিবিরকে ভড়কে দেন। যদিও দারুণ এক দলীয় আক্রমণে আসে এই গোল।

ফরাসি তারকা জর্জিয়ান উইঙ্গার কাভারৎস্খেলিয়ার বক্সে বাড়ানো পাস এক স্পর্শের শটে জালে জড়ান। তার বাঁ পায়ের শট প্রতিপক্ষের কয়েকজনের মাঝখান দিয়ে কোণাকুণি জালে জড়িয়ে যায়। আর্সেনাল গোলরক্ষক ডেভিড রায়া ৩১ মিনিটে দেম্বেলের ভালো একটি শট ঠেকিয়ে দেন । প্রথমার্ধে সফরকারী পিএসজি বলতে গেলে একপেশে দাপট দেখিয়েছে। বিপরীতে শেষ ১০-১৫ মিনিটে স্বাগতিক আর্সেনালের পায়ে বল দখল থেকে শুরু করে কয়েকটি আক্রমণ দেখা যায়।

মিকেল আর্তেতার দল এর বাইরে পারফরম্যান্সে পিএসজির ধারেকাছেও ছিল না। ৩৭ মিনিটে তাদের সবচেয়ে বড় সুযোগটা আসে। তাদের আক্রমণ ঠেকাতে দোন্নারুমা একপাশে এগিয়ে পড়ে গেলেও ফাঁকা বারে গোল দিতে ব্যর্থ মিকেল মেরিনো। কিন্তু গানাররা বিরতির আগমুহূর্তে যোগ করা সময়ে সেই আক্ষেপ ঘোচানোর দ্বিতীয় সুযোগ পায় । তবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা। ফলে পিএসজির বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্সেনাল।

আর্সেনাল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফিরেছিল । মিকেল মেরিনো ৪৭তম মিনিটে ডেকলান রাইসের বাঁকানো ফ্রি-কিকে হেড দিয়ে পিএসজির জালে বল জড়ান। কিন্তু রেফারি ভিএআর দেখে সেটিকে অফসাইড ঘোষণা করেন। নিজেই অফসাইড সীমানায় ছিলেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। মুহূর্তেই স্বাগতিক দল ও দর্শকদের উদযাপন রূপ নেয় হতাশায়।

আর্সেনালের সামনে ৫৫তম মিনিটে দারুণ আরেকটি সুযোগ এসেছিল। লিয়েন্দ্রো ট্রোসার্ড বাঁ প্রান্ত ধরে দৌড়ে বক্সে ঢুকে জোরালো শট নেন, কিন্তু গোলরক্ষক দোন্নারুমা হাতের স্পর্শে সেটিকে বাইরে পাঠান। প্রায় ৬৫ মিনিট পর্যন্ত লাল-সাদা জার্সিধারীরা এভাবে আক্রমণ শাণিয়ে পিএসজিকে তটস্থ করে রাখে। এরপর উভয় দল আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পায়নি। ফরাসি ক্লাবটির ৮০ মিনিটের পর টানা দুটি আক্রমণ ব্যর্থ হয়ে যায়। প্রথমে ব্র‍্যাডলি বারকোলা গোলরক্ষককে একা পেয়েও বাইরে মারেন। অপরটিতে গঞ্জালো রামোসের শট বারে লাগে।

পিএসজি এ নিয়ে চলতি মৌসুমের ইউসিএলে চার ইংলিশ ক্লাবের সবকটিকেই হারাল।
আর্সেনালের আগে ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল ও অ্যাস্টন ভিলা আগে তাদের কাছে হারের স্বাদ পেয়েছে। ভিলাকে হারিয়ে এ নিয়ে গত ৬ ইউসিএলের মধ্যে চতুর্থবার সেমিতে উঠে মার্কিনিয়োস-ফ্যাবিয়ান রুইজরা।

বিপরীতে ওডেগার্ড-সাকাদের আর্সেনাল ২০০৯ সালের পর সেমিতে খেলতে নেমে প্রথম লেগে হোঁচট খেলো। দ্বিতীয় লেগে তারা আগামী সপ্তাহে নামবে পিএসজির মাঠে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল

স্বাগতিক আর্সেনালকে স্তব্ধ করে দিয়ে পিএসজির জয়

আপডেট সময় ১২:১৮:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

প্যারিসিয়ান সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় কখনোই আর্সেনালকে হারাতে পারেনি। মিকেল আর্তেতার দলটিকে সেই ফরাসিরাই প্রথমবার হারালো তাদেরই মাঠে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উসমান দেম্বেলের একমাত্র গোলে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ থেকে জয় নিয়ে ফিরছে পিএসজি। লুইস এনরিকের দল ১-০ গোলের জয়ে ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে পিএসজিকে আতিথ্য দিয়েছে আর্সেনাল। ফুটবলবিষয়ক ইতিহাসবিদ ম্যাট বার্টজের মতে, ১৯৯৫ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি দু’দল মিলিয়ে সবচেয়ে তরুণ-নির্ভর সেমিফাইনাল। এ ছাড়া এ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫৮৩৮ দিন পর স্বাগতিকরা প্রথম সেমিফাইনাল খেলতে নামল। যেখানে উসমান দেম্বেলে মাত্র চতুর্থ মিনিটেই গোল দিয়ে স্বাগতিক শিবিরকে ভড়কে দেন। যদিও দারুণ এক দলীয় আক্রমণে আসে এই গোল।

ফরাসি তারকা জর্জিয়ান উইঙ্গার কাভারৎস্খেলিয়ার বক্সে বাড়ানো পাস এক স্পর্শের শটে জালে জড়ান। তার বাঁ পায়ের শট প্রতিপক্ষের কয়েকজনের মাঝখান দিয়ে কোণাকুণি জালে জড়িয়ে যায়। আর্সেনাল গোলরক্ষক ডেভিড রায়া ৩১ মিনিটে দেম্বেলের ভালো একটি শট ঠেকিয়ে দেন । প্রথমার্ধে সফরকারী পিএসজি বলতে গেলে একপেশে দাপট দেখিয়েছে। বিপরীতে শেষ ১০-১৫ মিনিটে স্বাগতিক আর্সেনালের পায়ে বল দখল থেকে শুরু করে কয়েকটি আক্রমণ দেখা যায়।

মিকেল আর্তেতার দল এর বাইরে পারফরম্যান্সে পিএসজির ধারেকাছেও ছিল না। ৩৭ মিনিটে তাদের সবচেয়ে বড় সুযোগটা আসে। তাদের আক্রমণ ঠেকাতে দোন্নারুমা একপাশে এগিয়ে পড়ে গেলেও ফাঁকা বারে গোল দিতে ব্যর্থ মিকেল মেরিনো। কিন্তু গানাররা বিরতির আগমুহূর্তে যোগ করা সময়ে সেই আক্ষেপ ঘোচানোর দ্বিতীয় সুযোগ পায় । তবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা। ফলে পিএসজির বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্সেনাল।

আর্সেনাল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফিরেছিল । মিকেল মেরিনো ৪৭তম মিনিটে ডেকলান রাইসের বাঁকানো ফ্রি-কিকে হেড দিয়ে পিএসজির জালে বল জড়ান। কিন্তু রেফারি ভিএআর দেখে সেটিকে অফসাইড ঘোষণা করেন। নিজেই অফসাইড সীমানায় ছিলেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। মুহূর্তেই স্বাগতিক দল ও দর্শকদের উদযাপন রূপ নেয় হতাশায়।

আর্সেনালের সামনে ৫৫তম মিনিটে দারুণ আরেকটি সুযোগ এসেছিল। লিয়েন্দ্রো ট্রোসার্ড বাঁ প্রান্ত ধরে দৌড়ে বক্সে ঢুকে জোরালো শট নেন, কিন্তু গোলরক্ষক দোন্নারুমা হাতের স্পর্শে সেটিকে বাইরে পাঠান। প্রায় ৬৫ মিনিট পর্যন্ত লাল-সাদা জার্সিধারীরা এভাবে আক্রমণ শাণিয়ে পিএসজিকে তটস্থ করে রাখে। এরপর উভয় দল আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পায়নি। ফরাসি ক্লাবটির ৮০ মিনিটের পর টানা দুটি আক্রমণ ব্যর্থ হয়ে যায়। প্রথমে ব্র‍্যাডলি বারকোলা গোলরক্ষককে একা পেয়েও বাইরে মারেন। অপরটিতে গঞ্জালো রামোসের শট বারে লাগে।

পিএসজি এ নিয়ে চলতি মৌসুমের ইউসিএলে চার ইংলিশ ক্লাবের সবকটিকেই হারাল।
আর্সেনালের আগে ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল ও অ্যাস্টন ভিলা আগে তাদের কাছে হারের স্বাদ পেয়েছে। ভিলাকে হারিয়ে এ নিয়ে গত ৬ ইউসিএলের মধ্যে চতুর্থবার সেমিতে উঠে মার্কিনিয়োস-ফ্যাবিয়ান রুইজরা।

বিপরীতে ওডেগার্ড-সাকাদের আর্সেনাল ২০০৯ সালের পর সেমিতে খেলতে নেমে প্রথম লেগে হোঁচট খেলো। দ্বিতীয় লেগে তারা আগামী সপ্তাহে নামবে পিএসজির মাঠে।