শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করায় বহিরাগত নারীদের শিক্ষককে জুতাপেটা

- আপডেট সময় ০২:৩২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
- / ১০ বার পড়া হয়েছে
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় একদল বহিরাগত নারী আব্দুল এক শিক্ষককে জুতাপেটা করেছেন। মধুপুরের আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষকের নাম আব্দুল জব্বার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে গতবছরের এপ্রিলে যোগদান করেন আব্দুল জব্বার। একদল নারী বুধবার দুপুরে হঠাৎ করেই তার কক্ষে গিয়ে আক্রমণ করেন। এ সময় সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগমসহ কয়েকজন তাদের হাত থেকে প্রধান শিক্ষককে রক্ষার চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের ওপরও ক্ষিপ্ত হন হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
হামলায় অংশ নেওয়া জাহিন ওরফে জাহি ও ঝুমা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার পড়ানোর নাম করে আমাদের মেয়ের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেছেন। একই অভিযোগ করেন সুমি বেগম নামের আরেকজন।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগম বলেন, আমি বিষয়টি সকালেই জানতে পেরেছি। পরে প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছিলাম। তিনি তখন অফিস কক্ষেই ছিলেন। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা স্যারকে আক্রমণ করে। একপর্যায়ে জুতা দিয়ে পেটাতে থাকেন। আমরা অনেক কষ্টে তাকে হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করি।
খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
তিনি বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের শান্ত করে বলেন, এ ঘটনার তদন্ত হবে। দোষ প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, স্থানীয় এক যুবক আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। তাকে বিভিন্ন সময়ে বোঝানো হয়েছে। কথা না শোনায় তাকে শাসন করা হয়েছিল। সেই ছেলে ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার শিক্ষার্থীদের সন্তানের মতো দেখি। সেভাবেই আদর-শাসন করি। তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি বের করার জন্য ঊর্ধ্বতনদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।
মধুপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আগামী অফিস ডে-তে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতিভাবে রিপোর্ট দেওয়া হবে।