ভারত-পাক অস্থিরতা: রোহিত-কোহলিদের বাংলাদেশ সফর অনিশ্চিত

- আপডেট সময় ০৭:১৬:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
- / ১০ বার পড়া হয়েছে
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান অস্থিরতা শুধু সীমান্তেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ক্রীড়াঙ্গনেও। চলতি বছরের আগস্ট মাসে ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের সূচি নির্ধারিত থাকলেও, সাম্প্রতিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে এই সফর নিয়ে দেখা দিয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ঘোষণা অনুযায়ী, ভারতীয় ক্রিকেট দলের তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টির একটি সাদা বলের সিরিজ খেলতে আগস্ট মাসে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল।
ক্রিকেটপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মতো তারকা ক্রিকেটারদের মাঠে দেখার জন্য। তবে, ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে দল পাঠাতে দ্বিধা বোধ করছে।
প্রতিবেদনে কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের ভয়াবহ হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে, যা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ককে আরও তিক্ত করে তুলেছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এই উত্তেজনা যেকোনো মুহূর্তে একটি বড় সংঘাতের রূপ নিতে পারে।
শুধু তাই নয়, ভারতের অন্য প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গেও কিছু বিষয়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই সামগ্রিক পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ক্রিকেট সূচি নিয়েই বড় ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে আগস্টে অনুষ্ঠিতব্য ভারতের বাংলাদেশ সফরের ওপর।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, যদিও এই সফরটি পূর্বনির্ধারিত ক্রিকেট ক্যালেন্ডারের অংশ, তবে বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সূত্রটি আরও ইঙ্গিত দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ভারতীয় দল যে বাংলাদেশে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে না, সেই সম্ভাবনাই এখন বেশি।
শুধু আসন্ন বাংলাদেশ সিরিজই নয়, এই বছর অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তার মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। কাশ্মীরের হামলার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ইতিমধ্যেই ভারতে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সম্প্রচার বন্ধ করার মতো কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও বেশ কিছু পাল্টা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে সম্পর্ককে আরও শীতল করে তুলেছে।
ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, ভারত-পাকিস্তানের এই অস্থিরতা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে এর প্রভাব শুধু দ্বিপাক্ষিক সিরিজেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলোর সূচিকেও এলোমেলো করে দিতে পারে।
বাংলাদেশ এবং ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা অবশ্যই চাইবেন এই সিরিজটি অনুষ্ঠিত হোক, কিন্তু খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। বিসিসিআই শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই এখন সবার দৃষ্টি।