নির্বাচনের উত্তেজনায় নতুন দলের ঢেউ: ৬৫টি পার্টির নিবন্ধনের দৌড়

- আপডেট সময় ১২:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
- / ২৬৭ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচনের দিন যত কাছে আসছে, ততই তৎপর হয়ে উঠেছে ৬৫টি রাজনৈতিক দল। এরা সবাই নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
এর মধ্যে অনেক দল শুধুই নামে-নামে টিকে আছে! কারও কার্যকরী কমিটি নেই, কারও আবার সাইনবোর্ড পর্যন্ত নেই। গত বছরের ৫ আগস্টের পর গঠিত দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নিউক্লিয়াস পার্টি অব বাংলাদেশ’ থেকে ‘বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ’—নামগুলো যেন বৈচিত্র্যের এক জাদুকাঠি!”
“এখন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মাঠে নেমেছে। তারা এই দলগুলোর কার্যালয়, কার্যক্রম আর নথিপত্র খতিয়ে দেখছে—কে সত্যিকারের রাজনৈতিক শক্তি, আর কে শুধুই নামের জোরে এসেছে, তা বের করতে।
এদিকে, গত দ্বাদশ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পায়নি এমন ৮৭টি দল আবারও ইসির দ্বারস্থ হয়েছে, নতুন করে সুযোগ চেয়ে।”
“বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫৫। কিন্তু আবেদনের ঢল থামছে না। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-সহ ৪৬টি দল নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর আবেদন করায় ইসি গত ২০ এপ্রিল সময়সীমা বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত করেছে।
এদিকে, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের জনতা পার্টি বাংলাদেশ কিংবা বাংলাদেশ নতুনধারা জনতার পার্টি (বিএনজিপি)-এর মতো নতুন দলগুলো আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গত নয় মাসে ২৪টি নতুন দলের আত্মপ্রকাশ দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—এরা কি সত্যিই জনগণের প্রতিনিধি, নাকি নির্বাচনী সুযোগের সন্ধানী?”
“প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি বলেছেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর ইসি নিবন্ধন নিয়ে পরিকল্পনা করবে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন এলেই ব্যাঙের ছাতার মতো নতুন দল গজিয়ে ওঠে। কেউ কেউ এটাকে গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ মনে করলেও, অনেকে এর পেছনে ক্ষমতার লোভ আর জোট রাজনীতির প্রভাব দেখছেন।”
“একটু মজার গল্প শুনুন! বাংলাদেশ মুক্তি ঐক্যদল-এর সভাপতি নুর ইসলাম শিকদার জানিয়েছেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তাদের কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ঝড়ে উড়ে গেছে।
নতুন সাইনবোর্ড তৈরি হচ্ছে, আর কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন কার্যালয় প্রস্তুত হবে। এদিকে, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ-এর সভাপতি আতিকুর রহমান রাজা বলছেন, বেকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তারা এই দল গঠন করেছেন। তাদের দলে এখন ৮টি জেলা ও ৭২টি উপজেলায় কমিটি রয়েছে!”
“নির্বাচন কমিশন এখন এই দলগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে ব্যস্ত। নতুন দলগুলো কি সত্যিই রাজনীতির মাঠে নতুন দিগন্ত খুলবে, নাকি এটা শুধুই নির্বাচনী হিড়িক? সময়ই বলে দেবে।