বাড়ছে অর্থ ও সুবিধাভোগী সংখ্যা
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে ১৬ বছর পর

- আপডেট সময় ০৯:৫৯:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
- / ২৫৩ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার পুরনো পদ্ধতি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ডিসেম্বর মাসে বার্ষিক পরীক্ষা শেষে পৃথকভাবে এই বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসাথে বৃত্তির অর্থ ও সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালুর পর বন্ধ হয়ে যায় পৃথক বৃত্তি পরীক্ষা। তবে এবার আবার সেই পুরনো পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ইতিমধ্যে বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালার খসড়া মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।
বর্তমানে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তরা ২২৫ টাকা পেয়ে থাকে। নতুন প্রস্তাবে উভয় ক্ষেত্রেই বৃত্তির অর্থ বাড়ানোর পাশাপাশি বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮২ হাজার ৫০০ থেকে বাড়িয়ে এক লাখ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান জানান, আগামী বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, “আগের মতো বৃত্তি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।”
২০২২ সালে পিইসি পরীক্ষা স্থায়ীভাবে বাতিল হওয়ার পর প্রাথমিক বৃত্তিও বন্ধ হয়ে যায়। তবে ওই বছরই বৃত্তি পরীক্ষা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, যা নিয়ে শিক্ষাবিদদের মধ্যে সমালোচনা ওঠে।
এবার নতুন করে এই পরীক্ষা চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার সম্প্রতি জানিয়েছেন, “প্রাথমিকে পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছে। বৃত্তিও আমরা চালু করতে যাচ্ছি।”