ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

দুপুর সাড়ে ১২টায় ইশরাকের শপথ বন্ধে রিটের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ১২:০২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে শুনানি ও আদেশ হওয়ার কথা রয়েছে দুপুর সাড়ে ১২টায়।

মঙ্গলবার (২০ মে) এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের ওপর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন। ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ইশরাক হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহসহ অন্যান্য আইনজীবীরা। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. মাহফুজুর রহমান মিলন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খান জিয়াউর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয় ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি । এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।

সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের তিন মার্চ মামলা করেন ইশরাক।

ছাত্র আন্দোলনের পর গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া।

এর মধ্যে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন।

আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুপুর সাড়ে ১২টায় ইশরাকের শপথ বন্ধে রিটের আদেশ

আপডেট সময় ১২:০২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে শুনানি ও আদেশ হওয়ার কথা রয়েছে দুপুর সাড়ে ১২টায়।

মঙ্গলবার (২০ মে) এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের ওপর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন। ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ইশরাক হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহসহ অন্যান্য আইনজীবীরা। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. মাহফুজুর রহমান মিলন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খান জিয়াউর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয় ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি । এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।

সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের তিন মার্চ মামলা করেন ইশরাক।

ছাত্র আন্দোলনের পর গত বছরের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া।

এর মধ্যে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন।

আদালত ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। এ রায় পাওয়ার পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।