৬ দিনের রিমান্ডে সাবেক সাংসদ মমতাজ

- আপডেট সময় ০১:৩৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
- / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে
দেশের জনপ্রিয় ফোক সম্রাজ্ঞী এবং মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে ৬ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। মানিকগঞ্জের পৃথক দুটি হত্যা মামলায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঢাকা কাশিমপুর কারাগার থেকে মানিকগঞ্জ কোর্ট হাজতে আনা হয়। এরপর আদালতে তোলা হলে বিচারক নূর হোসেন শুনানি শেষে এই ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোর্ট সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের সিংগাইরের গোবিন্দলের একটি চারজন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে মমতাজ বেগমকে আজ মানিকগঞ্জ সিনিয়র দায়রা ও জজ আদালতে তোলা হয়। এই মামলার শুনানিতে মমতাজের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোরশেদ আলম এবং জাহিদ খান উজ্জ্বল।
এর আগে, গত ১৩ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম মমতাজকে ৭ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। অন্যদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। তখন শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা তার জামিন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, গত ১২ মে রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে মমতাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মামলার মূল সূত্রপাত ২০২৪ সালের ১৯শে জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে।
ওইদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ভুক্তভোগী মো. সাগর নামের একজন শিক্ষার্থীর বুকে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন এবং পরে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় গত ২৭শে নভেম্বর নিহত সাগরের মা মোসা. বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়, এবং আরও ২৫০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এই মামলার এজাহারনামীয় ৪৯ নম্বর আসামি হলেন মমতাজ বেগম।
ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য হিসেবে নবম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য মনোনীত হন। এরপর ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর ও হরিরামপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তবে, ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে পরাজিত হন। বর্তমানে তিনি সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তার সৎ ছেলে সিংগাইর পৌরসভার মেয়র এবং ভাগনে শহিদুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।