ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

ঈদের আগে পোশাকশ্রমিকদের বেতন-বোনাসের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
  • আপডেট সময় ০১:১৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • / ২৫৩ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ঈদের আগে পোশাকশ্রমিকদের বেতন-বোনাসের দাবিতে মানববন্ধন ও পতাকা র‍্যালি করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা না দেওয়া হলে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার (২৩ মে) সকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা পতাকা র‍্যালি করেন। র‍্যালিটি প্রেস ক্লাব থেকে শুরু করে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতি বছরই ঈদ আসলে শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার সময় মালিকরা মায়া কান্না শুরু করেন। সরকার থেকে নানা রকম সুবিধা নেন তারা, ভ্যাট ছাড়, ব্যাংক ঋণের সুবিধা, রপ্তানিতে প্রণোদনা পান কিন্তু শ্রমিকদের বেতনের অর্ধেক বা নামমাত্র ঈদ বোনাস দেওয়ার ফন্দি করেন। অনেক কারখানায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস পরিশোধ না করার পাঁয়তারা করেন। এই মালিকদের এমন কর্মকাণ্ডে এই সেক্টরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

শ্রমিক নেতারা বলেন, কারখানার মালিকরা ঈদ আসলেই অর্থনৈতিক সংকটের গল্প শোনাতে শুরু করেন। রপ্তানি কম, ব্যাংক ঋণ পায়নি, প্রোডাকশন কম এসব বলতে থাকেন। অথচ বাস্তবতা হলো এই মালিকরা শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা না দিয়ে বছরের পর বছর মুনাফা করে নতুন নতুন কারখানা করে গ্রুপ ইন্ডাস্টির মালিক হচ্ছেন, বিলাশবহুল গাড়ি ও বাড়ির মালিক হচ্ছেন, কেউ কেউ দেশের বাইরেও সেকেন্ড হোম বানিয়েছেন।

বক্তারা আরও বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করে ৪২ লাখ শ্রমিক। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী। এই সেক্টর থেকে দেশের ৮৪ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। তাই ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের এক মাসের বেতনের সমান ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানান তারা।

এ সময় শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে। কিন্ত গার্মেন্টস শ্রমিকরা ১৫ বছর আগে যে জীবনযাপন করতো, এখনও সেই জীবনযাপন করছে। গত ১০ মাসেও শ্রমিকদের জন্য দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন আসেনি।

এ সময় জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, ৩০ মে’ র মধ্যে ঈদ বোনাস ও বেতন-ভাতা দেখতে চাই। বেতন-বোনাস না হলে শ্রম উপদেষ্টা বা দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ঈদ করতে পারবেন কি না সেটা আমরা জানি না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদের আগে পোশাকশ্রমিকদের বেতন-বোনাসের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০১:১৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ঈদের আগে পোশাকশ্রমিকদের বেতন-বোনাসের দাবিতে মানববন্ধন ও পতাকা র‍্যালি করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা না দেওয়া হলে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার (২৩ মে) সকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা পতাকা র‍্যালি করেন। র‍্যালিটি প্রেস ক্লাব থেকে শুরু করে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতি বছরই ঈদ আসলে শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার সময় মালিকরা মায়া কান্না শুরু করেন। সরকার থেকে নানা রকম সুবিধা নেন তারা, ভ্যাট ছাড়, ব্যাংক ঋণের সুবিধা, রপ্তানিতে প্রণোদনা পান কিন্তু শ্রমিকদের বেতনের অর্ধেক বা নামমাত্র ঈদ বোনাস দেওয়ার ফন্দি করেন। অনেক কারখানায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস পরিশোধ না করার পাঁয়তারা করেন। এই মালিকদের এমন কর্মকাণ্ডে এই সেক্টরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

শ্রমিক নেতারা বলেন, কারখানার মালিকরা ঈদ আসলেই অর্থনৈতিক সংকটের গল্প শোনাতে শুরু করেন। রপ্তানি কম, ব্যাংক ঋণ পায়নি, প্রোডাকশন কম এসব বলতে থাকেন। অথচ বাস্তবতা হলো এই মালিকরা শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা না দিয়ে বছরের পর বছর মুনাফা করে নতুন নতুন কারখানা করে গ্রুপ ইন্ডাস্টির মালিক হচ্ছেন, বিলাশবহুল গাড়ি ও বাড়ির মালিক হচ্ছেন, কেউ কেউ দেশের বাইরেও সেকেন্ড হোম বানিয়েছেন।

বক্তারা আরও বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করে ৪২ লাখ শ্রমিক। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী। এই সেক্টর থেকে দেশের ৮৪ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। তাই ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের এক মাসের বেতনের সমান ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানান তারা।

এ সময় শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে। কিন্ত গার্মেন্টস শ্রমিকরা ১৫ বছর আগে যে জীবনযাপন করতো, এখনও সেই জীবনযাপন করছে। গত ১০ মাসেও শ্রমিকদের জন্য দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন আসেনি।

এ সময় জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, ৩০ মে’ র মধ্যে ঈদ বোনাস ও বেতন-ভাতা দেখতে চাই। বেতন-বোনাস না হলে শ্রম উপদেষ্টা বা দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ঈদ করতে পারবেন কি না সেটা আমরা জানি না।